শসা বেশি খেলে যা হতে পারে...
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:১৪ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

শসা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষ করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শসা একটি আদর্শ সবজি। এটি গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও প্রায় সারা বছরই শসা পাওয়া যায়। যদিও আমরা শসাকে সবজি হিসেবে দেখি না। এটা মূলত আমরা ফল হিসেবেই খেয়ে থাকি। শসা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে ও ত্বকের যত্নে অনেক উপকারি। কিন্তু জানেন কি শসা কখন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হয়? তবে সে সম্পর্কে জেনে নিন-
শসা যখন শরীরের জন্য ক্ষতিকর: শসাতে ক্যালরি খুবই কম পরিমাণে থাকে। এতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। খাদ্য আঁশ, ভিটামিন সি ও পটাসিয়াম ছাড়াও নানা রকম ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে শসাতে। তারপরও অতিরিক্ত কোনো কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। শসাও সেরকম একটি সবজি। অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। শসাতে রয়েছে কিউকুরবিটাচিন। শসা বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়াও শসায় প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। তৃষ্ণা মেটানোর জন্য অনেকেই আমরা রাস্তায় শসা কিনে খেয়ে থাকি। কারণ এতে পানি পিপাসা অনেকটাই মিটে যায়। বেশি পরিমাণে শসা খেলে শরীরে তরলের ভারসম্যহীনতা হয়ে থাকে। এতে ইউরিনের পরিমাণ বেড়ে যায় ও শরীরের পানির পরিমাণ কমে যায়। সেইসঙ্গে এসিডিটির সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা অতিরিক্ত শসা খেলে এসিডিটি বাড়তে পারে। এছাড়া এসিডিটি না থাকলেও শসা বেশি পরিমাণে খেলে পেট ফুলে পেটে বলটিন বা গ্যাস হতে পারে। এ ধরণের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং এসিডিটির সমস্যায় যারা ভুগে থাকেন তারা কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় শসা খাবেন না। পরিমিত পরিমাণে শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।
যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তারা শসা খেলে অনেক ক্ষতি হয়। শসাতে পটাশিয়াম বেশি পরিমাণে থাকে। এটি কিডনির কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত শসা খাওয়া কিডনির জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও কিডনির সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের পানি মেপে খেতে হয়। শসায় যেহেতু পানির পরিমাণ বেশি মাত্রায় রয়েছে তাই কিডনির সমস্যা থাকলে শসা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি হতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খেলে। কারণ শসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। শসা খেয়ে পেট ভরে গেলে ক্ষুধা কমে যায়। এতে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাত্রাও কমে যায়। তাই শসা খেয়ে ওজন কমলেও স্বাস্থ্যের দিক থেকে এটা অনেকটাই ক্ষতিকর।
বেশি পরিমাণে শসা খেলে অনেকের পায়ে পানি জমে যায়। ফলে পা ফুলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই ওজন কমাতে শসা একমাত্র খাবার নয়, সহায়ক খাবার হতে পারে। সুস্থ থাকতে শসা সালাদ হিসেবে অন্যান্য সবজির সঙ্গে খেতে পারেন। অথবা বেলা ১১ টার দিকে মিড সালাদ হিসেবে শসা খেতে পারেন। শসার আকার বড় হলে একটি আর ছোট হলে দু’টি খেতে পারেন। শসা ভালো করে ধুয়ে তেঁতো অংশ বাদ দিয়ে খেতে হবে। এসিডিটি থাকলে খালি পেটে শসা খাওয়া যাবে না। সবসময় বিচি ফেলে শসা খাওয়াই ভালো। শসার উপকারিতার পাশাপাশি অনেক অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত মাত্রায় কোনো কিছুই যেহেতু ভালো নয়। তেমনি শসাও অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভালো।