বুক জ্বালা থেকে মুক্তির উপায়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যায় বুক জ্বালা-পোড়ার ভোগান্তিতে প্রায় সকলেই পড়ে থাকেন। অকারণে হঠাৎ করে বুক জ্বালা করছে কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কেন? পানি খাচ্ছেন, আরাম পাচ্ছেন না।
অনেকে গ্যাসের ওষুধ খান, সামগ্রিক আরাম পান আবার পরের দিন দেখা যায় আবার বুক জ্বালা করে। কিন্তু এর মূল কারণ কী? চিকিৎসা বিজ্ঞানে বুক জ্বালার নাম হচ্ছে গ্যাস্টো ইসোফিজিয়াম ফ্রেক্স। অর্থ্যাৎ, পকস্থলীর অম্ল জাতীয় পদার্থ হঠাৎ কিছুটা খাদ্য নালীতে উঠে আসতে চায়। বিভিন্ন খাদ্য বা কিছু অভ্যাস অদল বদল করা গেলে অনায়েসেই এ সমস্যা মেটানো যায়। সেগুলো কী? কীভাবে এর থেকে মুক্তি মিলবে? সেসব সম্পর্কে জেনে নিন-
বুক জ্বালা থেকে মুক্তির উপায়:
একবারে বেশি পরিমানে খাবেন না। অল্প অল্প করে বারে বারে খেতে হবে। যদি আপনি পেট ভরে খান তবে পাকস্থলী খাদ্য নালীর স্প্রিং এর দরজায় চাপ ফেলে। এজন্যই মূলত বুক জ্বালা শুরু হয়। অনেকেই খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়ে। এ প্রবণতা একদমই ঠিক নয়। খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না। খাওয়ার পর হালকা হাঁটতে পারেন, কিংবা টিভি দেখতে পারেন, বই পড়েন, একটু বসে থাকেন, কিন্তু একেবারে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে না পড়াই ভালো। ঘুমাতে যাওয়া ও খাওয়া দু’টোর মাঝে কমপক্ষে দু’ঘণ্টা সময় নিতে হবে। তবে খাবার পাকস্থলী থেকে নিচে নামার সুযোগ পাবেন। আর খাবার পাকস্থলী থেকে নিচে নামতে না পারলেই বুক জ্বালা পোড়া বেশি হয়ে থাকে। অনেকেই খাওয়ার পর একটু ব্যায়াম করে ঘুমাতে যায়। কিন্তু খাওয়ার পরপরই কোনো ভারী ব্যায়াম করা ঠিক নয়। খাওয়ার পর ভারী ব্যায়াম বুক জ্বালা পোড়া করার একটা বিশেষ কারণ। যাদের রাতের দিকে একটু বুক জ্বালা পোড়া হয় তারা মাথা একটু উঁচু করে ঘুমাবেন। মাথা উঁচু করে ঘুমালে এ ধরনের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। খাবার পর ব্যায়াম করতেই হলে এক ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করতে পারেন।
সফট ড্রিংকস জাতীয় পানীয় এ সমস্যা বাড়াতে সাহায্য করে। বেশ কিছু খাদ্যতেই এ সমস্যা বেড়ে যায়। যেমন: চকলেট, কফি, ফুলকপি, টমেটো, মসলাযুক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার ইত্যাদি। কোন কোন খাবার খেলে বুক জ্বালা করে সেদিকে একটু লক্ষ্য রাখতে হবে। সেসব খাবার বাদ দিতে হবে। তাহলেই এ সমস্যা অনেকটা চলে যাবে। আবার আপনি বুক জ্বালা কমাতে চিনিমুক্ত চুইঙ্গাম খেতে পারেন। চুইঙ্গামের মাধ্যমে লালা নিঃস্বরণ হয়ে থাকে। যে কারণে এসিডের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। এজন্য বুক জ্বালা পোড়ার ক্ষেত্রেও অনেকটা আরাম পাবেন। অনেকে দ্রুত খেয়ে থাকেন, তাড়াতাড়ি করে খেলে খাদ্যনালীর স্প্রিংটারে চাপ পড়ে থাকে। এর জন্যও এটা হতে পারে। আবার অনেক সময় ওষুধেও হতে পারে। এমন কিছু ওষুধ থাকে, যেগুলো খাদ্যনালীর স্প্রিং শিথিল করে দিতে সাহায্য করে থাকে। সেক্ষেত্রেও এসব সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশি বুক জ্বালা পোড়ার সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সব সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মেদ বা ভুড়ি এ সমস্যার একটি বড় কারণ।