শুক্রবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৩ ১৪৩২   ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রণের সমস্যা রোধে কলার খোসা

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

কলা সম্পর্কে আমরা জানি। কলার নানা রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে। কলার খেয়ে আমরা খোসা ফেলে দেই। কিন্তু খোসা যদি সঠিক জায়গায় ফেলা না হয় তবে সেটা বিপদের কারণ হতে পারে।

 

 

 

 

 

কলার খোসা বিভিন্ন রকম কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে রাসায়নিক মুক্ত কলা হলে তা অনেক ভালো কাজে দেবে। শুনতে অদ্ভুদ লাগলেও কলার খোসার মধ্যে লুকিয়ে আছে বহুগুণ। কলা এখানে খুবই সহজলভ্য তাই কলা খেয়ে খোসা ফেলার আগে কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-

কলার খোসার পুষ্টিগুণ:
কলার খোসায় উচ্চ মাত্রায় নিউট্রিয়েন্স ও কার্বো হাইড্রেড রয়েছে। এছাড়াও এতে ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। একই সঙ্গে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করতে চাইলে কলার খোসা ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক উপায় সাদা ঝকঝকে দাঁতের জন্য কলার খোসা ব্যবহার করা খুবই জরুরি। অনেকেই দাঁত থেকে হলদে ভাব কিছুতেই উঠাতে পারেন না। তাই কলার খোসার ভেতরের দিক দিয়ে কিছু সময় দাঁত মাজলে খুবই উপকার পাবেন। সেই সঙ্গে দাঁতে ব্যথা কমাতেও কলার খোসা ভীষণ ভালো কাজ করে। তাই পেইন কিলার বাদ দিয়ে দাঁতে ব্যথায় কলার খোসা ব্যবহার করতেই পারেন। দাঁতে পাকা কলার খোসা প্রতিদিন ঘষে টানা এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে খুবই উপকার পাবেন।

 

 

দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করতে কলার খোসা ব্যবহার

ব্রণের সমস্যায় মহিলা পুরুষ সবাই অনেক ভুগে থাকেন। মুখের ব্রণ দূর করতে কলার খোসা ভীষণ উপকারি। কলার খোসার মাধ্যমে একবার ব্রণ সেরে গেলে আর ফিরে আসে না। কলার খোসা মুখে ভালো করে ঘষে সারা রাত রেখে দিতে হবে। এতে ব্রণের সমস্যা অনায়েসেই কেটে যাবে। কলার খোসা মুখে লাগানোর আগে শরীরের যেকোনো অংশে আগে লাগিয়ে দেখতে পারেন। কোনো রকম সমস্যা হলে লাগাবেন না।

অনেক সময় নিজেকে খুবই ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্থ লাগে। এ অবসাদ কাটাতেও কলার খোসা খুবই উপকারি। কলার খোসা ফেলে না দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। এতে অবসাদ দূর হবে। কলার খোসায় মুড নিয়ন্ত্রক রাসায়নিক সেরোটনিন থাকে প্রচুর পরিমাণে। সেই সেরোটনিন শরীরের অবসাদ দূর করে থাকে। তাই অবসাদ দূর করতে হলে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।

 

 

কলার খোসা ব্যবহার

জুতো চকচকে করতেও কলার খোসা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কলার খোসার ভেতরের নরম অংশ জুতোর ওপর কিছু সময় ঘষে নিতে হবে। তারপর একটি নরম কাপড় দিয়ে জুতো মুছে ফেলবেন। কলার প্রকৃতিক অয়েল লেদার চকচক করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই জুতো পলিশ করার জন্য বেশি দুচিন্তা না করে কলার খোসা সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারেন। তারপর জুতো পরিষ্কার করতে পারেন।

এছাড়াও ব্যথা দূর করার জন্য কলার খোসা খুবই উপকারি। আমরা ব্যথা হলেই পেইনকিলার খেয়ে থাকি। পেইন কিলার না খেয়ে কলার খোসা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ব্যথাস্থানে সরাসরি কলার খোসা লাগিয়ে রাখবেন ৩০ মিনিট। ৩০ মিনিট পর খোসাটি সরিয়ে ফেলবেন। এতে ব্যথা কিছুটা হলেও কমে যাবে। এছাড়াও ভেজিটাবল অয়েল ও কলার খোসা এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। এটিও ব্যথা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে থাকে।