শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১   ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজ শেষ হচ্ছে ইজতেমার মাঠের কাজ

ডেস্ক নিউজ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের সব ধরনের কাজ বুধবারের মধ্যেই শেষ হবে। এ কথা জানান গাজীপুরের ডিসি ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।

ডিসি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই মুসল্লিরা অবস্থান নিতে পারবেন প্যান্ডেলের ভেতর। আগামী শুক্রবার থেকে আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে তাবলীগ জামাতের ৪ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা। ১৮ ফেব্রুয়ারি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।

ইজতেমা মাঠ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। ১০ হাজারের উপরে পুলিশ, র‌্যাব সদস্য, আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করবে। বিজিবি প্রস্তুত থাকবে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের তিনশ সদস্য কাজ করবে।

ইজতেমা ময়দানে ১৭টি প্রবেশ গেট আছে। এসব গেটে আর্চওয়ে থাকবে। ১৫টি ওয়াচ টাওয়ারও থাকবে। ময়দানের উপরে হেলিকপ্টার টহল থাকবে। ৩০০ সিসি টিভি থাকবে। পাশাপাশি তাৎক্ষণিক বিচার, নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ খাবার এবং আনুষাঙ্গিক বিষয় সুষ্ঠুভাবে সমাধানের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। যাতে সুষ্ঠভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করা যায়।

পরিসেবার মধ্যে রয়েছে পয়ঃনিষ্কাশন ও পানির ব্যবস্থা। এখানে তিনতলা বিশিষ্ট ৩১টি পাকা ভবনে ৮ হাজারের মতো ইউনিট টয়লট। আরো ১ হাজার মোবাইল টয়লেট করা হচ্ছে। মুসল্লিদের আসার জন্য ৪০০ বিআরটিসি বাস, বিশেষ ট্রেনসহ লঞ্চ নৌ-বোর্ড থাকবে। মাঠের উত্তর পাশে র‌্যাব, পুলিশ জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের পৃথক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। 

ডিসি বলেন, চার দিন ব্যাপী একটি ইজতেমা হবে। কিন্তু দুটো ম্যানেজমেন্ট হবে। ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি একটি পক্ষ এবং ১৭-১৮ আরেকটি পক্ষ ম্যানেজমেন্ট করবে। প্রত্যেকেই স্ব স্ব অংশের শেষের দিকে একটি করে মোনাজাত করবে। এতে সবাই অংশগ্রহণ করবে। এখানে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করছে। সবাই মিলে আজকেও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে মিটিং করেছি।

এরইমধ্যে মাঠের বিশাল এলাকা জুড়ে সামিয়ানা টানানো সম্পন্ন হয়েছে। বাকি অংশে সামিয়ানা টানানোর কাজ করছেন।

ডিসি আরো বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রতিবছর দেশি বিদেশি মুসল্লিরা এখানে আসেন। এবার আরো বেশি আসবেন। প্রতিবছর আমরা সাধারণত ১০০টির মতো দেশের প্রতিনিধি পাই। তাতে ১০-১৫ হাজার মুসল্লি আসেন। এ বছরও আসবেন। এর জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ এবং দ্রুততম করা হয়েছে। আশা করি সব মিলিয়ে একটি সুন্দর ইজতেমা হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানে আমরা কাজ করতে পারব।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুসল্লিদের তুরাগ নদ পারাপারের সুবিধার্থে ৭টি ভাসমান সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। এতে দুই পারের মুসল্লিরা অনায়াসে দুইপারে যাতায়াত করতে পারবেন।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চার দিন ব্যাপী এবারের বিশ্ব ইজতেমা। ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সাদপন্থী ওয়াসিফুল ইসলামের অনুসারীরা।