কুকুরকে ২৪ ঘণ্টা বেঁধে রাখলেই দণ্ড
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৩৬ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
কুকুরকে চলাফেরার সুযোগ না দিয়ে টানা ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় বেঁধে বা আটকে রাখার দায়ে জেল-জরিমানার বিধান রেখে আইন পাশ করেছে সরকার।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রাণী কল্যাণ আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১৯২০ সালের পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নিরোধ আইন আছে। সেই আইনের ভিত্তিতে নতুন এই আইনটি করা হয়েছে। প্রত্যেক প্রাণীর মালিক বা তত্ত্বাবধানকারীর দায়িত্ব হবে যৌক্তিক কারণ ছাড়া ওই প্রাণীর প্রতি কল্যাণকর ও মানবিক আচরণ করা এবং নিষ্ঠুর আচরণ করা হতে বিরত থাকা। এটা এই আইনের জেনারেল ইন্সট্রাকশন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, তবে খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রাণী জবাইয়ের সময় এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উৎস্বর্গকালে যেকোনো ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি কর্তৃক নিজস্ব ধর্মীয় আচার অনুযায়ী কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে, তাকে নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য করা হবে না।
এসময় তিনি এটাও উল্লেখ করেন, কুকুরকে শরীর চর্চার জন্য কোনো প্রকার চলাফেরার সুযোগ না দিয়ে টানা ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় বেঁধে বা আটকে রাখলে, তা নিষ্ঠুরতা বলে গণ্য হবে। খসড়া আইনে এ জাতীয় কিছু বিষয় আছে।
শফিউল আলম বলেন, যুক্তিযুক্ত প্রয়োজনে ভেটেরিয়ান সার্জনের লিখিত পরামর্শ ও পদ্ধতি অনুসারে প্রাণীকে অজ্ঞান করার ক্ষেত্রে বা এর ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটানো হলে, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।
তিনি আরো বলেন, এ আইনের অধীন অপরাধ করলে বা অপরাধে সহায়তা করলে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আগে এ শাস্তি ছিল তিন মাসের জেল বা এক হাজার টাকা জরিমানা।
চূড়ান্ত হলে এই আইনটি মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলে যুক্ত হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, তখন এ আইনের অপরাধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচার করা যাবে।
