শয্যাসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন মাধুরী, অতঃপর...
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৩৭ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার
#মিটু আন্দোলন নিয়ে বলিউড উত্তাল কম হয়নি। আর এ আন্দোলনে বেড়িয়ে এসেছে অনেক নিভৃতচারী গুণী মানুষের মুখোশও। অভিনেত্রী ও নারী নির্মাতা-কলাকুশলীদের যৌন হেনস্তার দায়ে কাঠগড়ায় উঠেছে পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতারাও।
একে একে প্রায় জনপ্রিয় তারকারা মুখ খুলছেন #মিটু নিয়ে। শাহরুখ-সালমান ও আমির খানেরাও পরিষ্কার করেছেন নিজেদের অবস্থান। পাশাপাশি কঙ্গনা-দীপিকা ও ক্যাটরিনা-প্রিয়াঙ্কার মতো তারকারাও মুখ খুলেছেন এই প্রসঙ্গে।
এবার #মিটু নিয়ে কথা বললেন বলিউডের ‘চন্দ্রমুখী’খ্যাত অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। তিনি বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন যখন দেখলেন যৌন হেনস্তায় অভিযুক্তদের তালিকায় নিজের পছন্দের ও শ্রদ্ধার মানুষদের নাম ছিলো।
মাধুরী খুব আহত হয়েছেন আলোকনাথ, সৌমিক সেনের মতো মানুষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠায়। ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে, এইসব ব্যক্তিদের সঙ্গে নিকট সম্পর্কই ছিল তার। কিন্তু #মিটু আন্দোলনের জেরে তাদের অজানা দিক জানার পর বেশ অস্বস্তিই হচ্ছে।
এ সময় মাধুরী আরো বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে হলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা ছিলো যৌন হেনস্তা। আমাকে অনেক পরিচালক নিজের বিছানায় নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেগুলো খুব সর্তকতার সঙ্গে আমি পাশ কাটিয়ে এসেছি। সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে হলে অনেক বুঝে কাজ করতে হয় এবং থাকতেও হয়।
সম্প্রতি #মিটু আন্দোলন ও তাতে জড়িয়ে পড়া একসময়ের সহকর্মী আলোকনাথ এবং পরিচালক সৌমিক সেনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সেখানেই মাধুরী জানান, আলোকনাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জেনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘জামাইরাজা’সহ বহু হিট ছবিতে মাধুরীর সঙ্গে অভিনয় করেছেন আলোকনাথ। সব ক্ষেত্রেই মাধুরীর গুরুজনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাকে। তার সঙ্গে মাধুরীর কাজের সম্পর্কও ছিল রীতিমতো ভাল। সেই আলোকনাথের নামেই #মিটু অভিযোগের কথা জেনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি মাধুরী।
ঠিক ততটাই বিস্মিত হয়েছিলেন #মিটু আন্দোলনে পরিচালক সৌমিক সেনের নাম ওঠায়। মাধুরীর সাম্প্রতিক হিট ছবি ‘গুলাব গ্যাং’-এর পরিচালক সৌমিক।
মাধুরী বলেন, ব্যাপারটা শকিং। কারণ প্রথমেই মনে হবে এদের আপনি চেনেন কিন্তু এভাবে চেনেন না। মনে হবে যে লোকটাকে তুমি চিনতে আর যার সম্পর্কে খবরে পড়ছ সেই দু’জন আলাদা মানুষ। এটা লজ্জার পরিচয়।
