রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৪ ১৪৩২   ০৮ রজব ১৪৪৭

ভিটা‌মিন ‘এ’ প্লাস ক্যা‌ম্পেইন শুরু

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৫২ এএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

রাতকানা রোগ প্রতিরোধে আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভিটা‌মিন ‘এ’ প্লাস ক্যা‌ম্পেইন। জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির আওতায় এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারাদেশে দুই কোটি ২০ লাখ ৫৪ হাজার শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থেকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, এবার দেশিয় প্রতিষ্ঠানের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। এ লক্ষ্যে অভিভাবকদের কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে শিশুদের কেন্দ্রে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

 

শনিবার ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এছাড়া ভ্রাম্যমাণ ২০ হাজার কেন্দ্রে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ব্রিজ, দাউদকান্দি ও মেঘনা ব্রিজ, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে স্বেচ্ছাসেবীরা অবস্থান করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে দুই জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ক্যাম্পেইনের দিনই ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। তবে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে ক্যাম্পেইন পরবর্তী চার দিন (১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করে বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এর আগে গেল ১৯ জানুয়ারি ছিল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের নির্ধারিত দিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ক্যাপসুলে গুণগত মানে সমস্যা থাকায় তা স্থগিত করে দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।

 

এ ঘটনায় তখন ডা. এনায়েতুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমি‌টি তদন্ত শে‌ষে একটি প্র‌তি‌বেদনও দা‌খিল ক‌রে‌ছে।

ক্যাম্পেইন শুরুর আগেই বিভিন্ন জেলায় সরবরাহকৃত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলগুলোর মধ্যে লাল ও নীল ক্যাপসুলকে একটির সঙ্গে আরেকটিকে লেগে যেতে দেখা গেছে। এর ফলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে তা স্থগিত করা হয়।

১৯৭৪ সাল থেকে জাতীয়ভাবে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলে আসছে। এর আওতায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। গেল বছরে এ কার্যক্রমের আওতায় ক্যাপসুল খাওয়ানোর কভারেজ বেড়ে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়।