‘গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৫৭ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার
আন্তর্জাতিক সহায়তা পেলে বাংলাদেশের পক্ষে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন। এজন্য উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরড্যাপ মিলনায়তনে ‘কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক এক প্রকাশনার মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এমনিতে বাংলাদেশ পরিবহন বিদ্যুৎ ও শিল্পখাতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ৫ শতাংশে কমিয়ে আনার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যদিও এটি বাংলাদেশের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পরিবহন, বিদ্যুৎ শিল্পখাত থেকে নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও আমরা ক্ষতিকর এ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক ১০টি কর্মসূচির একটি হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা। বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং পরিবেশ সুরক্ষা ও উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্যারিস চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে ইউনাইটেড নেশন্স ক্লাউমেট চেঞ্জ কনভেনশনে (ইউএনএফসিসিসি) বাংলাদেশ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। সেই অনুযায়ী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ দেশি-বিদেশি বিশেজ্ঞদের সহযোগিতায় ‘রোডম্যাপ অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ফর ইমপ্লিমেন্টিং বাংলাদেশ এনডিসি, ট্রান্সপোর্ট, পাওয়ার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সেক্টর’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই রোডম্যাপে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ৫ শতাংশে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সহায়তা পেলে এর পরিমাণ আরো বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
