বুধবার   ১৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২   ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

এই আবহাওয়ায় সতর্ক থাকুন ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে

ডেস্ক রিপোর্ট

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

জ্বর জ্বর লাগলেই তা যে ইনফ্লুয়েঞ্জা, এমনটা কিন্তু সবসময় বলা যায় না৷ কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সর্দি-কাশির জন্য দায়ী হল রাইনো ভাইরাস৷ চিকিত্সকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টাইপ এ ও বি ভাইরাসের সংক্রমণ হলেই তাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা বলা যায়৷

জার্মানির রবার্ট কখ ইন্সটিটিউটের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইদানীং, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দ্রুত চরিত্র বদলের ফলে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক তার মোকাবিলায় ব্যর্থ হচ্ছে। জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জার সাধারণ লক্ষণ। তবে বার্ড ফ্লু বা সোয়াইন ফ্লু-র মতো অসুখের কারণও এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দিনের পর দিন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় সব সময় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা না-ও হতে পারে। অনেক সময় ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় প্যারাসিটামলও দিয়ে থাকেন চিকিত্সকেরা। এ ক্ষেত্রে ওষুধের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণে ফুসফুসে সংক্রমণের ফলে অনেকেরই মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অনেক ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে মস্তিষ্ক ও হার্টের পেশিতেও সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবিটিস, হাঁপানির মতো সমস্যা থাকলে অবিলম্বে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে।

সাধারণত, ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে সেরে উঠতে অন্তত সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। জ্বরজ্বর ভাব, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, খিদে না পাওয়া ইত্যাদি সমস্যাগুলো আক্রান্ত রোগীকে এই ক’দিনে আরও দুর্বল করে দেয়।

ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা: অ্যান্টিবায়োটিক, প্যারাসিটামল বা সাধারণ জ্বরের ভ্যাকসিন দিয়েও এই অসুখ সারানো হয়। এ সবের পরও জ্বর খুব বেড়ে গেলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানোই শ্রেয়।

ইনফ্লুয়েঞ্জার এড়ানোর উপায়:

• ধুলো-বালি এড়িয়ে চলুন।

• হাঁচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করুন। সর্দি-কাশি হলে অন্যদের ব্যবহার করা জিনিস 
(যেমন, গামছা, তোয়ালে ইত্যাদি) ব্যবহার করবেন না।

• বেশি করে পানি খান।

• বেশি করে সবুজ শাক-সবজি আর ফল খান।

• দিনের বেশিরভাগ সময় রুমাল বা মাস্ক ব্যবহার করে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁচি-কাশি থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।