বুধবার   ১৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২   ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তলপেট ব্যথায় অবহেলা নয়, এটি প্রস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ!

ডেস্ক রিপোর্ট

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

গোটা বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সারের পর প্রস্টেট ক্যান্সারেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুরুষের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়লে রোগীকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভাব। তবে সমস্যা বা চিন্তার বিষয় হল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণগুলো চিনতে পারা যায় না। যখন সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে, তখন রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

পঞ্চাশ পেরনো পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। প্রস্টেট ক্যান্সার নির্ধারণের মূল হাতিয়ার হল, পিএসএ টেস্ট বা প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট। এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্টেট ক্যান্সার নির্ধারণ করা হয়। অধ্যাপক বাহরামি জানান, রক্তে পিএসএ-র মাত্রা সাধারণত ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। তবে কারো রক্তে পিএসএ-র মাত্রা ৪-এর বেশি হওয়া মানেই যে তিনি প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত, তা ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। এরই সঙ্গে ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট করাতে হবে। এই টেস্টে প্রস্টেটে কোনো রকম স্ফীতি বা ফোলা ভাব লক্ষ্য করলে বায়োপ্সি করানো জরুরি। তবেই প্রস্টেট ক্যান্সারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। 

ক্যান্সারের লক্ষণ:

১. প্রস্রাবের সময় যদি সমস্যা হয় বা মূত্রত্যাগের গতি কমে যায়, সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়া জরুরি। তবে এ ধরনের সমস্যা মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। 

২. প্রস্রাবের রং স্বাভাবিকের থেকে গাঢ় হলে, মূত্রত্যাগের সময় তলপেটে ব্যথা বোধ করলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়া জরুরি। কারণ, এটি প্রস্টেট ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ। 

৩. প্রস্রাবের সময় যদি প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হয় বা যদি কোনো রকম ব্যথা বা জ্বালা বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

৪. হাড়ে ব্যথা বোধ করলে, বিশেষ করে মেরুদণ্ডে বা কোমরে ব্যথা হলে তা প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। 

এছাড়াও বীর্যের সঙ্গে রক্ত, তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি প্রোস্টেট ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।