শুক্রবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৩ ১৪৩২   ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বেলের সঙ্গে এখনো কথা বলেননি জিদান

ডেস্ক রিপোর্ট

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ইতিহাসের সেরা দুটি গোল তাঁদের দুজনের। ২০০২ সালে জিদানের ভলিকেই সেরা গোল হিসেবে মেনে নিত সবাই। কিন্তু ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদের ডাগ আউটে দাঁড়িয়েই নিজের গোলকে পেছনে ফেলে দেওয়ার মতো এক গোল দেখেছেন জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে তাঁরই অধীনে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে লিভারপুলকে চমকে দিয়েছেন গ্যারেথ বেল। বিস্ময়কর ব্যাপার, অমন এক গোলের পর প্রায় ৮ মাস হয়ে গেলেও এখনো দুজনের কথা হয়নি!

শুনে অবিশ্বাস্য ঠেকতেই পারে। সেই গোলের পর ফাইনালে আরও একটি গোল করেছেন বেল। বেলের অমন পারফরম্যান্সেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে রিয়াল। ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন জিদান ও তাঁর দলবল। অমন এক ম্যাচের পর দলের সবাইকেই তো অভিনন্দন বার্তায় ভাসিয়ে দেওয়ার কথা জিদানের। কিন্তু বেল জানিয়েছেন, ম্যাচ শেষে শিরোপা উদ্‌যাপনের সময়েও দুজনের মধ্যে কোনো কথা চালাচালি হয়নি।

জিদানের সম্পর্কটা কেমন ছিল তা ‘ফোর ফোর টু’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন বেল, ‘তিনি আমার সঙ্গে (গোল নিয়ে) কথা বলেননি, আমিও সেদিনের পর থেকে এখনো তাঁর সঙ্গে কথা বলিনি। আমাদের সম্পর্ক ভালোই ছিল। আমি বলব না আমরা বন্ধু ছিলাম। শুধুই পেশাগত ভালো সম্পর্ক।’

পেশাগত সম্পর্কের কথা বলে বেল হয়তো দুজনের মধ্যকার শীতল সম্পর্কের কথা আড়াল করতে চাইলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সবাইকে অবাক করে দিয়ে জিদান যেদিন রিয়ালের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন, সেদিন রিয়ালের সব ফুটবলার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভকামনা জানিয়েছেন। কিন্তু বেল এ নিয়ে টু শব্দটিও করেননি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, ক্লাবকে রোনালদোর চুক্তির দাবি দাওয়া মেনে নিতে বলেছিলেন জিদান। এবং সেটা করার জন্য বেলকে বিক্রি করে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তি। সভাপতি রাজি না হওয়াতেই নাকি রিয়ালের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন জিদান।

দুজনের মধ্যে শীতল সম্পর্কের আরেকটি কারণ জিদানের দল নির্বাচন। ২০১৬-১৭ ফাইনালে সদ্য চোট থেকে উঠে আসা বেলকে একাদশে রাখেননি জিদান। পরের মৌসুমের ফাইনালেও বেলকে বসিয়ে রেখে ইসকোকে নামানো হয়েছিল। ফর্মে থাকা বেল পরের সিদ্ধান্তটা মানতে পারেননি, ‘আমি খুবই হতাশ হয়েছিলাম ম্যাচের শুরুতে না থাকায়। ডিসেম্বরে যে চোট পেয়েছিলাম, সেখান থেকে ফিরে ভালোই করছিলাম। লিগে শেষ চার ম্যাচে ৫ গোল ছিল আমার। আমার মনে হয়েছিল শুরু থেকে খেলার অধিকার আমার ছিল।’

বেলের ধারণা তাঁকে ওভাবে বসিয়ে রাখাতেই ওই গোল করতে পেরেছেন। এভাবে তাঁকে খেলা থেকে বঞ্চিত করার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মাঠে, ‘আমি মাঠে নামার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। আমি যখন নামলাম, তখনো রাগ হচ্ছিল। এ কারণেই হয়তো একটু পরে সেটা ঘটল।’