পর্নো তারকারা তাদের সন্তানের কাছে কী জবাব দেন?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার
নীল ছবি নিয়ে মানুষ যতই নাক উঁচু করুক না কেন, এটিই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন সমাজের চোখে তারা সবচেয়ে ‘খারাপ’ ব্যক্তি। প্রতিনিয়তই লজ্জাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাদের। বিশেষ করে অভিনেত্রীরা এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন বেশি হন।
সমাজে বিদ্যমান কলঙ্ক উপেক্ষা করে এই শিল্পে আসাটাই সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন কাজ। ১৮ বছর ধরে এই পেশায় কাজ করার পর মার্কিন পর্নো অভিনেত্রী লিসা অ্যান এবং জেসিকা ড্রেকের মতো অনেকেই এই শিল্পের বাইরে গিয়েও সফল হয়েছেন। সব কলঙ্ক আর গ্লানি উপেক্ষা করে ড্রেক যখন মূলধারার অভিনয় এবং মডেলিংয়ের জগতে আসেন তখনকার অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, লজ্জা এবং কলঙ্কের কারণে আমরা এক সময় ভাবতাম অন্য কোথাও কাজ করার সুযোগ আমাদের নেই। আমরা নিজেরাই নিজেদের কাছে লজ্জিত থাকতাম। এটা করে আমরা আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করেছি।
পর্নো দুনিয়া ছেড়ে বলিউডে প্রায় পাকাপাকি অবস্থান তৈরী করেছেন সানি লিওন। তিনি বলেন, আমার বর্তমান জীবন আগের চেয়ে অনেক ভালো। আমি একসময় ভাবিনি যে এত ভালো একটা সময় আমার জীবনে আসবে। তবে আগের জীবনটা সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য ছিলো এবং চ্যালেঞ্জিংও।
সামাজিক কারণ ছাড়াও পর্নো অভিনেত্রীদের তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ভয়ানক লজ্জাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। সেটা হচ্ছে তাদের মাতৃত্ব। নিজের অভিনয় সম্পর্কে অনেক অভিনেত্রীই ভাই-বোন, এমনকি মা-বাবার সঙ্গেও অনেক সময় আলোচনা করে থাকে। তবে এটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায় নিজের সন্তানের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে তারা যখন ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশ করতে শেখে। এ বিষয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ডেইলি বিস্ট পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে সাবেক পর্নো অভিনেত্রী অরোরা স্নো জানান, একই সঙ্গে পর্নো সিনেমায় অভিনয় করা এবং মা হওয়া সত্যিকার অর্থেই অত্যন্ত একটি কঠিন কাজ। স্নো লেখেন, ‘পর্নো বিনোদনের জগতে কাজ করা মা-বাবাদের নিজেদের কাজ এবং বাড়ির মধ্যে একটি দেয়াল টেনে দিতে হয়। অনেক গোপন থাকতে হয় তাদের। সন্তানদের সঙ্গে বেশি আলাপ আলোচনা থেকে বিরত থাকতে হয়।’
সত্তরের দশকের পর্নো অভিনেত্রী লং জেন সিলভারকে এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। একবার তার মেয়ে ইন্টারনেটে দেখে ফেলে ভিডিওগুলো। সে তার মাকে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, তুমি কি কখনো লং জেন সিলভারের নাম শুনেছো?’ এ কথা শোনার পর ফোন কলটি কেটে দেন সিলভার। পরে মেয়েকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি তোমার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলতে চাই।’ দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় যখন আশপাশের লোকজন বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেয় না। একই সঙ্গে একজন নারীকে যৌনকর্মী এবং স্নেহশীল মা হিসেবে মেনে নিতে তারা প্রস্তুত থাকে না।
৮০টিরও বেশি পর্নো সিনেমায় অভিনয় করেছেন সাভান্না স্যামসন। খ্যাতির শীর্ষে থাকাকালীন জন্ম নেয় তার দুই ছেলে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যখন তিনি পর্নো শিল্প থেকে অবসরে যাবেন তখন তার ছেলে মেয়ে তাকে নিজের কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে কী উত্তর দেবেন? ডেনিয়েলস বলেন, ‘আমি তাদের বলব, তাদের মা এমন একটি কাজে জড়িত ছিল, যাতে অনেকেরই সম্মতি নেই। তবে তাদের মা এটা নিয়ে গর্বিত। এটা বড়দের জন্য করা তার কাজ।’
