আগুয়েরোর ‘হ্যান্ড অব গড’?
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার

আগুয়েরো-আগুনেই গতকাল পুড়েছে আর্সেনাল। হ্যাটট্রিক গোলটা করতে গিয়েই আগুয়েরো মনে করিয়ে দিলেন নিজের সাবেক শ্বশুর ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে!
মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে সিটির ইংলিশ উইঙ্গার রহিম স্টার্লিং একে একে অ্যালেক্স ইওবি, স্টেফান লিচস্টাইনার আর দুই সেন্টারব্যাক লরাঁ কসিয়েলনি ও শকোদ্রান মুস্তাফিকে পরাস্ত করে আগুয়েরোর দিকে দুর্দান্ত এক ক্রস বাড়ান। সে ক্রসে পা লাগাতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ফলে বলটা ঠিক পায়ে না লেগে প্রথমে আগুয়েরোর পাঁজরে, ও পরে বাম হাতে লেগে গোললাইন অতিক্রম করে। আর্সেনালের জার্মান গোলরক্ষক বার্নড লেনো পরে বলটা পাঞ্চ করে ফেরত দিলেও, ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে, গোল উদ্যাপন করা শুরু করে দিয়েছেন আগুয়েরো!
না, ম্যারাডোনা বা নিদেনপক্ষে এসপানিওলের বিপক্ষে মেসির সেই ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের মতো এটি অবশ্যই ইচ্ছাকৃত নয়। তবুও, গোলটা দেখে ফুটবল-রোমান্টিকেরা একটু বিনোদন খুঁজলে সমস্যা কোথায়? গোলটা দেখে তাই অনেকেই আগুয়েরোকে নিজের সাবেক শ্বশুর ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর জাতীয় দলের সতীর্থ লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করা শুরু করে দিয়েছেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনার হাত দিয়ে করা সেই বিতর্কিত গোলের কথা কে শোনেননি? ম্যাচশেষে ম্যারাডোনা নিজেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ওই গোলটা তিনি করেননি, করেছে ‘ঈশ্বরের হাত’ বা ‘হ্যান্ড অব গড’। একইভাবে ২০০৭ সালে লিগের একটা ম্যাচে এসপানিওলের বিপক্ষে হেড করার নাম করে বাম হাত দিয়ে গোল করেছিলেন মেসি। গত রাতে সেই মেসি-ম্যারাডোনাকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন আগুয়েরো!
ম্যারাডোনার ছোট মেয়ে জিয়ান্নিনার সঙ্গে বহু বছর সম্পর্ক ছিল আগুয়েরোর। বিয়েও করেছিলেন তারা দুজন, বেঞ্জামিন নামের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে এই দম্পতির। সে হিসেবে ম্যারাডোনা আগুয়েরোর শ্বশুর। কিন্তু বিয়েটা চার বছরের মাথায় ভেঙে যায়।
আগুয়েরোর সঙ্গে মেসির বন্ধুত্বের কাহিনি নতুন নয়, নিজের সন্তান জন্মের সময় সন্তানের ‘গডফাদার’ হিসেবে মেসিকেই মনোনীত করেছিলেন আগুয়েরো। কাল তৃতীয় গোলটা করে আগুয়েরো যেন জানিয়ে দিলেন, মেসি বা ম্যারাডোনার সঙ্গে শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা খেলার ধরনের দিক দিয়েই নয়, ‘মিল’ আছে আরও অনেক দিক দিয়েই!
আর্জেন্টিনার জার্সি পরেছিলেন সেই বিশ্বকাপের সময়। ফ্রান্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল করেও বাঁচাতে পারেননি দলকে। তারপর নতুন কোচ লিওনেল স্কালোনি আগুয়েরো, হিগুয়েইনদের মতো ‘বুড়ো’দের জায়গায় পাওলো দিবালা, জিওভান্নি সিমিওনে,মাউরো ইকার্দি, লওতারো মার্টিনেজদের মতো তরুণ স্ট্রাইকারদের খেলিয়ে যাচ্ছেন। সামনের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা দলে হয়তো তারুণ্যেরই প্রাধান্য থাকবে, কিন্তু আগুয়েরো সেটা মানবেন কেন? গতকাল হ্যাটট্রিক করে তাই দেখিয়ে দিলেন, প্রস্তুত আছেন তিনিও!