মোটর নিউরন রোগ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৫:৩৬ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

মোটর নিউরন রোগ একটি স্নায়ুক্ষয়ী (Neurodegenerative) রোগ। যা মোটর নিউরনকে মূলত ক্ষয় করে বা এমনভাবে পরিবর্তন করে যাতে ওই ব্যক্তির ভ্যালানটেরি মাংশপেশির সক্রিয়তা কমিয়ে আস্তে আস্তে কাজ বন্ধ করে দেয়। আগে একে সাদা মানুষের রোগ বলা হতো। কিন্তু এখন আর বলা যাচ্ছে না। ঠিক এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়াতে প্রায় ২ লাখ লোক এই রোগে ভুগছেন।
জিন : সড (SMd1) মূলত এই রোগের জন্য দায়ী। এই রোগের অনেকগুলো প্রকার আছে : যেমন অ্যামায়োট্রফি
কল্যাটেরাল স্কলেরসিস (Amytrophiclateral sclerosis) প্রগেসিভ বালবার পালসি ((Progressive bulbar palsy) প্রগেসিভ মাসকুলার অ্যাট্রোরফি, ((Progressive muscularactropluy) প্রিমেশারি লেটেরাল স্কলেরসিস ((Primesurylateral sclerosi) মৌমেলিক অ্যানিওট্রফি (mouomelicanuyotrophy)
লক্ষণ
*মাংশপেশির দুর্বলতা
* দরজার নব খুলতে কষ্ট হওয়া
* ছোট ছোট জিনিস হাত দিয়ে তুলতে না পারা
* শুয়ে থাকা অবস্থায় শ্বাসকষ্ট হয়।
* কথা বলতে কষ্ট হওয়া
* ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া
* অতিরিক্ত থুতু তৈরি হওয়া
* হাত এবং পায়ের মাংশপেশি শুকিয়ে যাওয়া
* চিন্তার সমস্যা অর্থাৎ দ্রুত শব্দ মাথায় না আসা
* ছেলেরা মেয়েদের থেকে আড়াইগুণ বেশি এই রোগে আক্রান্ত হয়।
পরীক্ষা
সিএসএফ(Cerebrospinal fluid), এমআরআই (MRI) ইএমজি (EMG) এবং এনসিএস (NCS) পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় সম্ভব।
চিকিৎসা
এই রোগের পুরোপুরি কোনো সঠিক চিকিৎসা কোথাও এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে, জাপানের ওষুধ রেলুজল (জরুঁড়ষব) ব্যবহার করলে আয়ুষ্কাল ২ থেকে ৩ মাস বাড়ানো যায়।
লক্ষণ শুরু হওয়ার পর বাঁচার সম্ভাবনা
অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটেরাল স্কলেরসিস : ২-৫ বছর, প্রগেসিভ বালবার পালসী: ৮-১০ বছর, প্রগেসিভ মাসকুলার অ্যাট্রোরফি: ২-৪ বছর।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন আশা
স্টিম সেল থেরাপি (ঝঃবস পবষষঃযবৎধঢ়যু) হলো চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন আশা। এক্ষেত্রে দেহের প্রিমেটিভ (ঢ়ৎরসরঃরাব) কোষ গুচ্ছ হচ্ছে কিছু স্টিম সেল নিয়ে; রক্তে এই সেলগুলোকে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্যই এর আগে দেহকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে হয় সেইভাবে তৈরি করে নেওয়া। না হলে দেহ এই নতুন সেলগুলোকে ফরেনবডি হিসেবে গ্রহণ করবে। এবং টি সেল মেডিকেটেড সেলক্লিয়ার একশন (CD4, Ges.CD8) করে ফেলবে। তাই এই স্টিম সেল থেরাপির জন্য এই প্রক্রিয়া জরুরি হয়। এরপর প্রিমেটিভ সেলকে দেহ গ্রহণ করবে। থেরাপি অনুযায়ী তাদের মরে যাওয়া মোটর নিউরনকে নতুন করে পুনর্জাগরিত করতে পারবে।
যদিও প্রক্রিয়াটি এখনো ঘঐঝ(NHS(UK) অথবা, অচঐজঅ (APHRA (AUSIRLIA) কর্তৃক স্বীকৃত হয়নি। তারপরেও ভবিষ্যতের জন্য এটাই মোটর নিউরন রোগীদের একমাত্র আশার আলো।
ডা. মো. তৌফিক খান
মেডিকেল অফিসার, রোজ হাসপাতাল, সাভার