শুক্রবার   ২৩ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৯ ১৪৩২   ২৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

পোশাক নিয়ে সমালোচনা, দৃষ্টিভঙ্গির জবাব দিলেন পিয়া

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৫৯ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বিপিএল উপস্থাপনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আর্ন্তজাতিক মডেল ও দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। শোবিজের পাশাপাশি নিজেকে একজন আইনজীবী ও ব্যবসায়ী হিসেবেও দাঁড় করিয়েছেন তিনি। ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ নির্বাচিত হওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ অলরাউন্ডারকে।

সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলেছেন পিয়া। ফেসবুকে তাকে নিয়ে নানা রকম ট্রল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, যখন ট্রলগুলো ভাইরাল হয়েছে, আমি তখনো ব্যাখ্যা দিয়েছি। আবার বলছি, সবাইকে নিয়ে কিন্তু কথা হয় না। ভালো কিছু করলে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। বিশেষ করে মেয়েরা ক্যারিয়ারে উন্নতি করলে তাদের নিয়ে চারপাশে নেতিবাচক কথা শুরু হয়ে যায়।

২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন পিয়া। সেখানে গিয়ে ইতালির একটি নামকরা মডেল এজেন্সি জে এজেন্সির মডেল হওয়ার প্রস্তাব পান তিনি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বেশ বিব্রত হয়েছিলেন। পরে অবশ্য সামলে উঠতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে পিয়া বলেন, সেখানে আমাকে প্রথম দিন বলা হলো, আমার শরীরের মাপ দিতে হবে। আমি মাপ দিতে দাঁড়িয়ে পড়লাম। ওরা বলল, পোশাক খুলে মাপ দিতে। ভড়কে গেলাম। ধাতস্থ হতে সময় লেগেছিল। তবে এ প্রতিযোগিতায় বিকিনি পরা আবশ্যিক ছিল না। কেউ চাইলে পরতে পারবে। আমার অস্বস্তি লেগেছিল, তাই আমি পরিনি।

তিনি বলেন, ভেবেছিলাম হয়তো এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। কিন্তু যখন ওপরের অন্তর্বাসও খুলতে বলল, আমি বলেছিলাম, এটা না করলে কি কোনো সমস্যা হবে? বাংলাদেশে তো এসব পরেই মাপ দিই। ওরা বিরক্ত হয়েছিল। পোশাকের মাপ যেন ঠিকঠাক থাকে, সে কারণে তাদের কথামতো মাপ দিতে হলো। অদ্ভুত ব্যাপার, এই বিষয়টি ওদের কাছে এতই সহজ আর স্বাভাবিক যে মনে হলো কোনো যন্ত্রের মাপ নিচ্ছে যেন। আমার শরীরের দিকে অন্য কোনো দৃষ্টিতে একবারও তাকায়নি। পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো একেই বলে।