বৃহস্পতিবার   ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৬ ১৪৩২   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

নামায-রোযা করেও যে মানুষ জাহান্নামী হবে

ডেস্ক রিপোর্ট

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

ইসলামে সামগ্রিকভাবে সমস্ত মানুষ ও বিশেষভাবে মুসলমান ও নিজ প্রতিবেশির অধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মানুষই এমন আছে, যারা খুবই আমল ইবাদত করে, কিন্তু প্রতিবেশীর সাথে তার আচরণ ভালো নয়। তার মুখের ধারালো কথা থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না। এমন ব্যক্তি সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে-

قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهُ إِنَّ فُلَانَةَ تَصُوْمُ النَّهَارَ وَتَقُوْمُ اللَّيْلَ وَتُؤْذِي جِيرَانَهَا بِلِسَانِهَا قَالَ «هِيَ فِي النَّارِ» قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فُلَانَةٌ تُصَلِّيْ الْمَكْتُوْبَةَ وَتَصَدَّقَ بِالْأَثْوَارِ مِنْ الْأَقِطِ وَلَا تُؤْذِي جِيرَانَهَا قَالَ « هِيَ فِي الْجَنَّةِ »

“এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল ইয়া রাসূলুল্লাহ! অমুক মহিলা দিনে রোযা রাখে, রাতে তাহাজ্জুদ সালাত পড়ে, কিন্তু সে তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়। রাসূলুল্লাহ্‌ (সা.) বললেন: সে জাহান্নামী। অতঃপর সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন যে, অন্য এক মহিলা শুধু ফরয সালাত আদায় করে, আর পনিরের এক টুকরা করে তা দান করে। কিন্তু সে তার প্রতিবেশীকে কোন কষ্ট দেয় না। তিনি বললেন: সে জান্নাতি। –মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-১৩৬

সুতরাং, যারা মানুষ ও বিশেষত প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় তাদের নফল ইবাদত কোন কাজে আসবে না। তাদের নামায ও রোযা তাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে বাঁচাতে পারবে না। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে হলে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে হলে, তাকে অবশ্যই মানুষকে কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকতে হবে।