আশরাফুলের জায়গায় খেললেও চাপহীন ইয়াসির
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:১৬ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

কথা শেষ করে চলে যাচ্ছিলেন ইয়াসির আলী। ঠিক একই সময়ে সংবাদ সম্মেলন মঞ্চে উঠছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মুখোমুখি হতে হাসি ফুটে উঠল দু'জনের মুখে। মিরাজ বলে উঠলেন, 'মাশাআল্লাহ, খুব ভালো ব্যাটিং হচ্ছে দোস্ত।'
শেষের ওই 'দোস্ত' সম্বোধন তাদের ব্যক্তিগত নৈকট্যের পরিচায়ক। যদিও খেলোয়াড়ি পর্যায়ে বেশ এগিয়ে গেছেন মিরাজ। জাতীয় দলে খেলছেন নিয়মিত, বিপিএলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিরও। আর ইয়াসির ছিলেন বিপিএলেও প্রথমে সুযোগ না পাওয়াদের একজন। পাঁচ বছর আগে একসঙ্গে যুব বিশ্বকাপ খেলেছেন। এরপর দু'জনের দুটি পথ গেছে দু'দিকে। তবে ইয়াসিরের জন্য বিপিএল এনে দিয়েছে নবযাত্রা। ভাইকিংসের হয়ে রান করছেন নিয়মিত, ১৩৪.৫৭ স্ট্রাইক রেটে তিনটি ফিফটি করে উঠে গেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান করা পাঁচ ব্যাটসম্যানের তালিকায়। লক্ষ্য এখন তার আরও এগিয়ে যাওয়ার।
বিপিএল দিয়ে লাইমলাইটে এলেও ইয়াসির কিন্তু ক্ষণিকের ঝলক দেখানো কেউ নন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ২২ বছরের এ ব্যাটসম্যান প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৪৬টি। ১৯টি অর্ধশত আর ৬টি শতকে রান করেছেন গড়ে ৪৯.৩৪ করে। পঞ্চাশ ওভারি ক্রিকেটের 'লিস্ট এ'তেও ধারাবাহিক। ৫০ ম্যাচে ৯ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৩৩.৩৬ গড়ে। বড় শট খেলতে পারায় বিপিএলে দল পেয়েছেন দুই মৌসুম আগেই। কিন্তু ২০১৬-তে চিটাগং আর ২০১৭-তে খুলনা তাকে কোনো ম্যাচ খেলায়নি। চলতি আসরেও ছিল একই দোলাচলে।
শনিবারের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে ব্যক্তিগত তৃতীয় ফিফটির পর ইয়াসির দুই আসর বসে থাকার যন্ত্রণার কথা জানালেন। বললেন একটা জিদ কাজ করেছে। দুটি মৌসুম বসে থাকায় প্রমাণ করার একটা আকাঙ্ক্ষা তো ছিলই।' ইয়াসির শুরুর দুই ম্যাচ বসে থাকার পরে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যর্থতার দলে ঢুকেছেন। সুযোগ নিতে না পারলে ছিটকে পড়ার শঙ্কা ছিল। তবে সেটা চাপ ছিল না বলে জানান চাপ ছিল না।
বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। 'আমাকে যখন টিমে নিয়েছিল, তখন এনসিএল শেষ হলো, পরপর বিসিএল শুরু হলো। ওই সময় নান্নু স্যার একদিন বললেন, রাব্বি ভালোমতো খেল। সামনে বিপিএল আছে। প্র্যাকটিস কর। প্রস্তুত হয়ে নে। ভালো খেলতে হবে। অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবি।'