বুধবার   ১৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩১ ১৪৩২   ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ধূপের গন্ধে হতে পারে ক্যান্সার!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৫:২৬ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার

বাড়িতে অনেকেই মশা দূর করতে বা ঘ্রাণের জন্য ধূপকাঠি ব্যবহার করেন। এছাড়া অনেক মনে করেন স্বল্পমূল্যেই মশা তাড়ানোর কাজ হচ্ছে। কিন্তু এতে হতে পারে বড় বিপদ কারণ এই সুগন্ধেই থাকে বিষ। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।


সাউথ চায়না ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (এসসিইউটি)-র বিজ্ঞানীরা ধূপকাঠি নিয়ে একটি গবেষণা করেন। সেই গবেষণার তারা দাবি করেছেন সিগারেটের ধোঁয়ার চেয়ে ক্ষতিকর ধূপকাঠির ধোঁয়া। বেশিরভাগ চিকিৎসকও এই বিষয়টির সঙ্গে একমত।

চিকিৎসকদের মতে, ক্রমাগত ধূপকাঠির ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে ফুসফুস ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চলছে। তাতে উঠে এসেছে ধূপকাঠির ধোঁয়ার এই ক্ষতিকর দিকটি।

২০১৫ সালে এসসিইউটি-র সেই গবেষণা বলছে, ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে তো বটেই, ধূমপান করেন না এমন ব্যক্তিদের জন্য ধূপকাঠির ধোঁয়া মারাত্নক ক্ষতিকর। ধূপকাঠি জ্বালালে তার ধোঁয়া থেকে বের হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দূষিত কণা। যা বাতাসের সাথে মিশে যায় ফলে আমাদের শরীরের মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে।

জরিপে দেখা যায়, ধূপকাঠির ধোঁয়ায় তিন ধরনের বিষ থাকে। সেগুলো হলো মিউটাজেনিক, জিনোটক্সিক এবং সাইটোটক্সিক। এ ধরনের বিষ থেকে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।

মিউটাজেনিক, যা ডিএনএ-র কোষের চরিত্র বদলে দেয়। জিনোটক্সিক জিনের চরিত্রকে এমনভাবে বদলে দেয় যা ক্যান্সার ডেকে আনে। আর সাইটোটক্সিক এত ক্ষতিকর যে শরীরের কোষকে মেরে ফেলে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি-র জার্নালে প্রকাশিত একটি জরিপের রিপোর্ট বলছে, দীর্ঘদিন ধরে যদি ধূপকাঠির ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। ধূপকাঠির ধোঁয়ায় যে দূষণ কণিকা থাকে তার মধ্যে ৬৪ রকমের যৌগিক পদার্থ থাকে। যা শরীরে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।

জরিপটিতে আরো বলা হয়, শুধু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাই নয়, ধূপকাঠিতে যে সুগন্ধি ব্যবহার করা হয় তাও যথেষ্ট ক্ষতিকারক। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, যে ঘরে সঠিক ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা আছে এমন ঘরেই ধূপ জ্বালানো যেতে পারে। বন্ধ ঘরে ধূপ জ্বালালে তার ধোঁয়া থেকে উৎপন্ন কার্বন মনো-অক্সাইড শরীরে প্রবেশ করে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ খারাপ।