গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ক্ষতিকারক তেঁতো করলা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৫:০০ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

তেঁতো করলার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা প্রায় সবাই জানি। এর অনেক গুণ রয়েছে। যা আমাদের শরীরের নানা রকম উপকার করে থাকে।
কিন্তু এ তেঁতো করলা যদি আমরা অতিরিক্ত মাত্রায় খাই তাহলে সেটা অকী উপকার করে? সে সম্পর্কে জেনে নিন-
তেঁতো করলা অতিরিক্ত খেলে কী হয়?: আপনি যদি গর্ভবতি মহিলা হয়ে থাকেন তবে অতিরিক্ত মাত্রায় করোলা খাওয়া চলবে না। কারণ গর্ভবতি মহিলা অতিরিক্ত মাত্রায় তেঁতো করোলা খেলে পিরিয়ডসের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এর ফলে গর্ভ নিরোধক প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খিচুনি হতে পারে। আর এভাবে গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যেতে পারে। তাই গর্ভবতী মহলাদের অতিরিক্ত মাত্রায় তেঁতো করলা খাওয়া উচিত নয়।
ডায়বেটিস রোগীদের জন্য তেঁতো করুলা খুবই উপকারি। এটা ডায়বেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে। তবে ডায়বেটিস রোগীরা নিয়মিত ওষুধের সঙ্গে তেঁতো করলা গ্রহন করলে পাশ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যদি আপনি কোনো ওষুধ নিয়মিত খান সেই সঙ্গে তেঁতো করলা খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এমনভাবে রক্তের শর্করা কমবে যেটা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই একটি করলার চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ জুস করে খেতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় কখনই খাবেন না।
ডায়বেটিসের রোগীদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি থাকে। যে তেঁতো বেশি খাওয়া ডায়বেটিসের জন্য অনেক ভালো। তবে সেটা কিন্তু ঠিক নয়। হার্ট বিটের ক্ষেত্রে তেঁতো করলা খুবই উপকারি। কারণ এটা ধমণীতে ক্লোজেং প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ২০১০ সালের একটি গবেষণা থেকে জানা যায় যে, যদি বেশি তেঁতো খাওয়া হয় তবে অনিয়মিত হার্ট বিট হতে পারে। তাই অনিমিত হার্ট বিটের একটি কারণ হতে পারে তেঁতো করলা। এ কারণেই অতিরিক্ত মাত্রায় করলা খাওয়া যাবে না। শিশুরা করলা খেলে বমি, পেটে ব্যাথা ও পেট ফাঁপা রোগে আক্রন্ত হতে পারে। শিশুদের জন্য এটা বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে এ তেঁতো করলা না খাওয়াই ভালো। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তেঁতো করলা বেশি খেলে লিভারের এনাজাইম উন্নত হয় ও লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। সে কারণেই তেঁতো করলা অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবে না।
তেঁতো করলা আমাদের শরীরের জন্য উপকারি হলেও সেটা বেশি মাত্রায় খেলে আমাদের শরীরে বিষক্রিয়ায় পরিণত হয়ে থাকে। তাই তেঁতো করলা অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে শিশুদের জন্য না খাওয়াই ভালো।