বৃহস্পতিবার   ২০ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৬ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

বিএনপির ৭ নেতাকে জরুরি ভিত্তিতে লন্ডনে ডেকেছেন তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৫৮ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র নেতাদের লন্ডনে তলব করা হয়েছে। ঢাকা থেকে সরাসরি লন্ডন যেতে বাধা দেওয়া হতে পারে, এ কারণেই নেতারা ভিন্ন ভিন্ন পথে লন্ডনে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বিএনপির শীর্ষ সাত নেতা লন্ডনে যাওয়ার নির্দেশনা পেয়েছেন। এরা হলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আগামী ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এরা বিদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানা গেছে, তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ শুধু সরাসরি লন্ডনে যাচ্ছেন। তার কাছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেলোশিপ আমন্ত্রণ রয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যাচ্ছেন ব্যাংকক। সেখানে তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে লন্ডনে যাবেন। ভারতে যাচ্ছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সেখানে ভারতীয় একটি থিংক ট্যাংকের আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি। ওই সেমিনারে যোগ দিয়েই যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা তার। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আদালতের অনুমতি নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাবেন উন্নত চিকিৎসার জন্য। আবদুল আউয়াল মিন্টু লন্ডনে যাবেন ব্যাংকক দিয়ে। এদিকে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনও বর্তমানে সিঙ্গাপুরে। তিনি তারেক রহমান কর্তৃক সফরের ডাক পেয়েছেন কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা না গেলেও জানা যাচ্ছে, সিঙ্গাপুরে তারেক রহমানের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. কামাল। এরপর লন্ডনে যাবেন কিনা তা পরিস্থিতি নির্ভর।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর বিএনপিতে কোন্দল, হতাশা এবং বিভক্তির প্রেক্ষাপটে এই লন্ডন বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্বের বিষয়টি সব থেকে গুরুত্ব পাবে বলে দলের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন। বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপির পক্ষে কাউন্সিল করা সম্ভব নয়, তাই লন্ডন বৈঠকেই হয়তো কাউকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

একটি সূত্র বলছে, সাংগঠনিক বিষয় ছাড়াও নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতি এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে লন্ডন বৈঠকে। বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে যে ৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন তারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন কিনা, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে লন্ডনেই। বিএনপি নেতারা সংসদে যোগ না দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেও, সংসদে যোগ দেওয়ার পক্ষে বিএনপির ওপর চাপ বাড়ছে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়েও বিএনপি দ্বিধা বিভক্ত। দলের শীর্ষ নেতারা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের পক্ষে থাকলেও তৃণমূল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মুখিয়ে আছে। ঢাকা সিটি উত্তরের নির্বাচনের ব্যাপারেও তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতারা।