শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৬ ১৪৩১   ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শীতের প্রকোপে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

 

শহরে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। দিনের বেলা শীতের উপস্থিতি তেমন একটা লক্ষ্য না করা গেলেও রাতে উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। বিগত দিনগুলোতে শীতের প্রভাব কম থাকলেও এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। শীতের কারণে বয়স্কদের পাশাপাশি বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। প্রতিদিনই বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে নবজাতক থেকে ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের সংখ্যাই বেশি। এমতাবস্থায় এই শীতে শিশুদের প্রতি আরো যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত ৩ মাসে প্রায় ৯০ জন শিশু রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে যার মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো ১২ থেকে ১৫ জন। এছাড়া ডায়রিয়া, স্ট্রং ডায়রিয়া, এ্যাজমা, শ্বাস-প্রশাস জনিত রোগ, কাশি এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীসহ ৭০ থেকে ৮০ জন শিশু হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালটির টিকিট কাউন্টারে রোগীদের ভিড়। অধিকাংশ রোগীই শিশু। সন্তানকে কোলে নিয়ে টিকেট কাউন্টারের লাইনে দাড়িয়ে টিকেট নিচ্ছেন মায়েরা। এ সময় কথা হয় লাইনে দাড়িয়ে থাকা কিছু অভিভাবকদের সঙ্গে।

৩ মাসের শিশু কোলে চিকিৎসা সেবার অপেক্ষা করছেন তল্লার বাসিন্দা জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমি তো চেষ্টা করি বাচ্চাকে সকল ধরনের রোগ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে। কিন্তু শীতের কারণে বাচ্চার ভাইরাস জ্বর হয়ে গেছে। আজ চিকিৎসা নিতে এসে দেখি আমার মতো আরো অনেকেই এখানে এসছেন।’

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্য হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত ডাক্তার জাকিয়া সুলতানা বলেন, শিশুরোগীর সংখ্যা বেশি হলেও চিকিৎসা সেবায় কোন কমতি হচ্ছে না। প্রতিটি শিশুকে সাধারণত ৪ থেকে ৭ দিন চিকিৎসা দিতে হয়। রোগ ভাল না হওয়া পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। যতদিন শীত থাকবে ততদিন রোগীর সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকবে। শীত ও শৈত প্রবাহ বেশী হলে রোগীর সংখ্যা বেশি হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, শীতকালে বাচ্চাদের রোগ বেশি হওয়া অনেকটা স্বাভাবিক ঘটনা। মায়েদের অসচেতনতা, বাচ্চাদের অপরিষ্কার হাতে নিয়ে আদর করাসহ আরো কয়েকটি কারণে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিভাবকরা ৪টি নিয়ম মেনে চললে বাচ্চাদের রোগ বালাই কম হয়। যেমন, খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকা, ব্যক্তিগতভাবে পরিছন্ন থাকা, বাচ্চাদের অপরিষ্কার হাতে আদর না করা এবং নোংরা অবস্থায় একদমই রাখা যাবেনা। এই শীতে মায়েদের যত্নবান হবার পরামর্শ দেন তিনি।