স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৩১ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে মন্ত্রীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে নতুন সরকারের প্রথম একনেক বৈঠকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে দেয়া জনগণের ভোটের মর্যাদা ধরে রাখায় প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোটের মাধ্যমে আমাদের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, তার মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জনগণ বিপুল ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছে, সেই বিশ্বাসের সম্মান রাখতে হবে। সবাই মিলে কাজ করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা। এসব কাজের গতি ধরে রাখতে হবে, মান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নজরদারিও বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। অর্জিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হবে এবং আরো বাড়াতে হবে। এজন্য প্রকল্প বাছাই ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যত্নবান হতে হবে। এভাবেই আমরা উন্নয়নের পথে যাব।
তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নত দেশের কাতারে যেতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যও পূরণ করতে সক্ষম হব।
সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে শুরু হওয়া একনেক বৈঠকে সভায় ৯টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়।
সভাশেষে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
পরিকল্পনা বিভাগ জানিয়েছে, যাত্রাবাড়ী (মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার)-ডেমরা (সুলতানা কামাল সেতু) মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ নামের প্রকল্পটি প্রথম একনেক টেবিলে স্থান পায়। প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৮ কোটি টাকা। চলতি বছর থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।
যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-শিমরাইল-নারায়ণগঞ্জ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক, যা দুটি প্রধান জাতীয় মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক সংযুক্ত করেছে। প্রস্তাবিত সড়কটি এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মূল অংশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাঁচপুর সেতু ও পোল্ডার সড়ক নির্মাণের ফলে এ সড়কে যান চলাচল বেড়ে যায়।
এছাড়া প্রথম একনেক সভায় ‘পিপিআর রোড নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’, ‘দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ’ প্রকল্প একনেকে উঠে।
বিদ্যমান সাতটি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের উন্নয়ন ও নতুন ছয়টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পও একনেক সভায় উঠানো হয়। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া সভায় ‘গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ’, নেত্রকোনা জেলার সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ‘গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারাবাজর সড়কে ৯টি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ এবং প্রতি জেলা-উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়।
