বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১   ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

প্রচারণার শুরুতেই সহিংসতা অনাকাঙ্ক্ষিত: সিইসি

নিজেস্ব প্রতিবেদক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার

নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতেই সহিংসতা ও প্রাণহানীর ঘটনায় নির্বাচন কমিশন বিব্রত বলে মন্তব্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার। সেই সঙ্গে ঠাকুরগাওয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিংয়ের উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, গতকালকে আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলেছিলাম, সারাদেশে নির্বাচনী কার্যক্রমে কোনো অঘটন ঘটেনি। কিন্তু গতকালকেই দুটো ঘটনা ঘটেছে। যেটা আমাদেরকে বিব্রত করেছে, মর্মাহত করেছে। নিহতের ঘটনা আমাদেরকে অত্যন্ত বিব্রত করেছে, ব্যথা দিয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িতে হামলা হয়েছে। যেটা অনাকাঙ্খিত এবং আমরা বিব্রত। এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। একটা মানুষের জীবন সমস্ত নির্বাচনের চেয়ে মূল্যবান। সারাদেশে ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। সেটার যে মূল্য, আমরা মনে করি, একটা মানুষের জীবনের মূল্য তার চেয়ে বেশি। সহিংসতার কারণে সেই জীবন চলে গেল, এটা কারো কাম্য হতে পারে না। এই অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।

সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, কর্মী, প্রার্থী, ভক্ত, শুভাকাঙ্খী, সবার প্রতি অনুরোধ করতে চাই- আপনারা ধৈর্যশীল আচরণ করবেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন, কারো নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না, একে অন্যের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবেন। যেকোনো উত্তেজনাকর, উদ্বেগজনক নির্বাচন পরিপন্থি ও অনাকাঙ্খিত কার্যাবলী পরিহার করবেন এবং নিজেরাই তা প্রতিহত করবেন।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সচেষ্ট থাকার নির্দেশনা দিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে আশস্থ করতে হবে নির্বাচন সহিংসতার জায়গা নয়। নির্বাচন মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জায়গা। ধৈর্য্য ও একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেন সিইসি।

 

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তো বটেই, সব দিক দিয়ে আলাদা নির্বাচন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগের কোনো নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। প্রতিটা কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ছয়জন প্রার্থী, সারা দেশে মোট ১৮০০’র বেশি প্রার্থী মাঠে থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হবে বলে আশাও প্রকাশ করেন সিইসি।

তিনি বলেন, কমিশন নির্বাচনের আগে সব ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে রিটার্নিং অফিসার ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। আইনের সঠিক প্রয়োগ করে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল নির্বাচন উপহার দিতে এসব কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।