শীতে ত্বকের যত্ন
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:৪৯ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

শীতে শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে ফেলে। আপনি যদি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় কাটান তাহলে আগামী কয়েকটা মাস আপনাকে একটু বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। না হয় ত্বকের শুষ্কতা খুব ভোগাবে৷ শীতকালে গোসলে সাবান কম ব্যবহার করুন। আর করলেও ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ত্বক ক্রমশ আর্দ্রতা হারাবে, তাই বিশেষ যত্নআত্তি না পেলেই দেখা দেবে বলিরেখা৷বয়সের আগেই ত্বকে ভাঁজ পড়বে, তা কুঁচকে যেতে পারে৷ কিন্তু খানিকটা সচেতন হলেই এই সমস্যার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব। রাতে ঘুমানোর আগে ও গোসলের পর নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে। ফলে চুলকানিও হবে না, ত্বকও ফাটবে না।
চুলের যত্ন
শীতের সময় চুলে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায়। খুশকিমুক্ত থাকতে সপ্তাহে দু’দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। গোসলে যাওয়ার আগে লেবুর রস দিয়ে আপনার মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলুন। সমপরিমান পানি এবং ভিনেগার দিয়ে মিক্সার তৈরি করুন। রাতে মিক্সারটি মাথার তালুতে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে ওঠে শ্যাম্পু দিয়ে হালকাভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। কিছু পরিমাণ টক দধি নিয়ে মাথার তালুতে লাগিয়ে রাখুন। এছাড়াও নিমপাতা পিষে পেষ্ট বানিয়ে ফেলুন। এবার মাথার শুষ্ক খুলিতে এই পেস্ট সরাসরি প্রয়োগ করুন। আধাঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। চুল সবসময় পরিস্কার রাখুন। অপরিস্কার চুলে খুশকি হবে এবং বৃদ্ধি পাবে এর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই প্রতিদিনই আপনার চুল পরিস্কার করে ধুয়ে ফেলবেন। ধীরে ধীরে আপনার চুল থেকে হারিয়ে যাবে খুশকি।ছেলেদের মাথায় বিভিন্ন কারণে খুশকি হয়ে থাকে। খুশকি কোনো রোগ বা রোগের লক্ষণ নয়। নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখলে তাতেই খুশকি অনেক কমে যাবে।
মুখের যত্ন
শীত এলেই মুখের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনার মুখমণ্ডল রুক্ষ্ম হয়ে ওঠে। তাই কয়েকটি সহজ পদ্ধতিতে আপনার মুখমণ্ডল সুন্দর ও মসৃণ রাখতে পারেন। ভালো ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে, তারা ক্রিমের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সারাদিন বাইরে থেকে এসে আপনি খুব সহজেই একটা বা অর্ধেক আলু মিহি করে বেটে ৫-১০ মিনিট মুখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার সারাদিনের মুখে লাগা ধুলা-বালি ও কালো দাগ পড়া থেকে আপনার মুখকে রক্ষা করবে। চালের বা গমের ময়দার সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার মুখমণ্ডল অনেক ভালো থাকবে। পাকা পেঁপে, তরমুজ ও টমেটো খুব ভালো করে হাত দিয়ে চটকে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক নরম ও মসৃণ থাকে।
ঠোঁটের যত্ন
ঠান্ডা বাতাসে ঠোঁট বারবার ফেটে যায়। কখনো এতটাই ফেটে যায় যে চামড়া উঠে আসে ও রক্ত বের হয়। কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ঠোঁটে হালকা করে তিন-চারবার চাপ দিন। তারপর ভেসলিন বা গ্লিসারিন পাতলা করে লাগিয়ে নিন। ঠোঁটের জন্য ভালো কোনো প্রসাধনী ব্যাগে রাখুন এবং দিনে তিন-চারবার লাগাতে পারেন। যাদের পুরোনো চর্মরোগ (যেমন- সোরিয়াসিস, একজিমা, ইকথায়সিস ইত্যাদি) আছে তাদের ত্বকের সমস্যা এই সময় বেড়ে যেতে পারে। তাই আরো সচেতন হতে হবে তাদের। প্রয়োজনে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।