সোমবার   ১৭ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩২   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

জয়ের পথে রাজশাহী

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে ঢাকা ডায়নামাইটস। এ পথে ১৬ ওভারে ৮৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে সাকিব বাহিনী। জয়ের প্রহর গুনছে রাজশাহী কিংস।

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে গোড়াপত্তনেই হোঁচট খায় ঢাকা। শুরুতেই মিরাজের স্পিন বিষে নীল হয়ে ফেরেন সুনিল নারাইন। এর জের না কাটতেই উদানার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে বিদায় নেন হজরতউল্লাহ জাজাই। খানিক পর আরাফাত সানির শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আন্দ্রে রাসেল। এতে চাপে পড়ে ডায়নামাইটসরা।

এর মধ্যে সানির দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাকিব আল হাসান ফিরলে অবস্থা আরো করুন হয় তাদের। এ পরিস্থিতিতে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ইনফর্ম রনি তালুকদার। সানির স্পিন ভেলকিতে সোজা বোল্ড হন তিনি।

ঢাকা ডায়নামাইটস-রাজশাহী কিংস ম্যাচটি বিশেষ কারণে সবার নজর কেড়েছে। এতে নিজ নিজ মায়ের নাম লেখা জার্সি পরে খেলতে নেমেছেন রাজশাহী ক্রিকেটাররা। জার্সিতে মায়ের নাম লেখা থাকায় উচ্ছ্বসিত মিরাজরা। তারা ম্যাচটা জিততে চান এবং জয়টা মায়েদের উৎসর্গ করতে চান। সেই লক্ষ্যে ডায়নামাইটসদের ১৩৭ রানের টার্গেট দিয়েছে কিংসরা।

বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী কিংস অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ফলে প্রথমে বোলিং করতে নামে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজশাহী। ইনিংসের গোড়াতেই আন্দ্রে রাসেলের শিকার হয়ে ফেরেন মিরাজ।

দ্বিতীয় উইকেটে মার্শাল আইয়ূবকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন শাহরিয়ার নাফীস। দুর্দান্ত খেলতে থাকেন তারা। দুজনের মধ্যে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। এতে দুরন্ত গতিতে ছোটে বরেন্দ্রভূমির দলটি। তবে হঠাৎই ছন্দ হারান শাহরিয়ার। ব্যক্তিগত ২৫ রানে সুনিল নারাইনকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি।

সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি মার্শাল। পরক্ষণেই এ মায়াবি স্পিনারের ঘূর্ণি জালে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফরমার।

শুরুতে ধাক্কা খাওয়ার পর দলের হাল ধরেন নাফীস-আইয়ূব। তারা ফিরে যাওয়ার পর রাজশাহীকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জাকির হাসান ও রায়ান টেন ডেসকাট। ফলে লড়াকু পুঁজি সংগ্রহের পথে থাকে দলটি। প্রথমে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারা। পরে হাত খুলে মারতে যান। সেখানেই বাধে যত বিপত্তি।

আলিস-আল ইসলামের বলে ব্যক্তিগত ২০ রানে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন জাকির। সেই রেশ না কাটতেই নারাইনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন ডেসকাট (১৬)। অল্পক্ষণ পর সাকিব আল হাসানের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে বিদায় নেন সেকুগে প্রসন্না। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় রাজশাহী। ঢাকার হয়ে নারাইন নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ১টি উইকেট পকেটে ভরেন রাসেল, সাকিব ও আলিস।