নকশা পরিবর্তনে জটিলতা কাটল পদ্মা সেতুর
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৫৬ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার
অবশেষে দুটি পিলারের নশায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সব জটিলতা কেটে গেছে। পদ্মা সেতুর ২০টি পিলারের কাজ ৬টি পাইলের মাধ্যমে শেষ করা গেলেও জটিলতা দেখা দিয়েছিল ৬ এবং ৭ নম্বর পিলারে। শেষ পর্যন্তু নকশায় পরিবর্তন এনে ৬টি পাইলের পরিবর্তে ৭টি পাইলে নির্মিত হবে সেতুর এ দুটি পিলার। পরিবর্তিত নকশা মঙ্গলবার অনুমোদন দিয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ। এর ফলে মাওয়া প্রান্তে সেতু দৃশ্যমান হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।
নদীর তলদেশের মাটি ও নদী শাসনের জটিলতার কারণেই এই পিলার দুটির নশায় পরিবর্তন আনা হলো। এ জটিলতার কারণে এতদিন মাওয়া প্রান্তে সেতুতে কোনও স্প্যান বসানো সম্ভব হয়নি। ফলে এ প্রান্তে সেতুও দৃশ্যমান ছিল না। অপর প্রান্তে সেতুর ৫টি স্প্যান বসানোয় হয়ে গেছে।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাজিরা পয়েন্টের সবগুলো পিলার ৬টি পাইলের ওপর করা সম্ভব হলেও মাওয়া প্রান্তে নদীর তলদেশের মাটি ও নদী শাসনগত জটিলতায় তা করা যায়নি। তাই এখানে এই নকশায় পরিবর্তন আনা জরুরি হয়ে পড়ে। নকশা পরিবর্তনের বিষয়টি অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এ প্রান্তের ৬ এবং ৭ নম্বর পিলার দাঁড় করানো হবে ৭টি পাইলের ওপর।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৬ ও ৭ নম্বর পিলার স্থাপিত হবে। আগে প্রকল্পের পিলারগুলো ৬টি পাইলের সাহায্যে একটি মূল পিলার স্থাপন করা হতো। এখন ৬টির স্থলে ৭টি পাইলের মাধ্যমে সেতুর ৬ ও ৭ নম্বর পিলার স্থাপন করা হবে। এ দুটি পিলারের নির্মাণকাজ শেষ হলে মাওয়ায় স্প্যান বসানো শুরু হবে। মাঝ নদীতে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলার দুটিও প্রস্তুত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, শুরুতে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তকে ঘিরে সাজানো হয়েছিল সব পরিকল্পনা। তবে মাওয়া প্রান্তের ২২টি পিলারের নিচের মাটির গঠনগত জটিলতায় পাল্টে যায় সব পরিকল্পনা। আপাতত নকশা জটিলতার সমাধান মিলেছে। মাওয়া প্রান্তের ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এই পিলারগুলোর ওপরে পাইল ক্যাপও বসানো হয়েছে। যেকোনও দিন এই চারটি পিলারের ওপর স্প্যান বসিয়ে দেয়া হতে পারে। তবে ৬ এবং ৭ নম্বর পিলার জটিলতায় সবকিছু আটকে ছিল। এখন নশায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সব জটিলতা কেটে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যানটি বসে। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান এবং সবশেষ গত ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়।
