মঙ্গলবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৫ ১৪৩২   ১০ রজব ১৪৪৭

“মলিন হতে দেবো না, লাল-সবুজের পতাকা”

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:২৬ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার

“রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে এ দেশ। মা-বোনের ইজ্জত বিসর্জনে পাওয়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। যুদ্ধপরাধীদের হাতে এ দেশ তুলে দিতে পারেন না।”

“সেই ত্যাগের বিনিময়ে মহান বিজয়। এক-দুটি নয়, একেক করে নয়টি মাস যুদ্ধের পর পেয়েছি বিজয়। যুদ্ধ বিজয়ের মাসে আর একটি জয় উপহার দিতে চাই দেশ নেত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে।”

এবারো নৌকার জয়ে প্রমাণ হবে বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের কোনো স্থান নেই। চিরতরে মিশিয়ে দেবে রাজাকারদের চিহ্ন। গল্পের ছলে কথা হয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের সঙ্গে।

বিজয়ের দিনে সব শ্রেণি পেশার মানুষের উপচেপড়া ভীড়ে মুখরিত স্মৃতিসৌধের চারপাশ। বিজয়ের জয় গানে জয় জয়কার চারদিক। বিজয়ের স্বাদ নিতে পিছিয়ে ছিলো না প্রতিবন্ধী শিশুরাও। হুইল চেয়ারে বসে আসে শহীদ বেদিতে।

যে দিকে চোখ যায়, ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, কিশোর-কিশোরী, সবার পরনে লাল সবুজের সমারোহ। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বিজয়। তারই যেন প্রতিফলন ফুল হাতে আসা লাল সবুজের পোশাকে পোশাকে।

নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়েদের পরনে লাল-সবুজে রাঙানো পায়জামা পাঞ্জাবি। মেয়েদের পরনে বাহারি সাজের লাল সবুজের সমারোহ। দেখে মনে হয়, লাল-সবুজে ঘেরা বিজয়ের মাস।

ডেইলি বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেমেয়ের সঙ্গে। কেনো এসেছেন জানতে চাইলে বলেন, “আমরা জানি এখানে আজ অনেক মানুষ হবে। কেউ আসবে ফুল দিতে, কেউ আসবে শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য ফুল হাতে সম্মান জানাতে। আমরা এসেছি কিছুটা সময় ঘোরাফেরা করতে। অনেক ভালো লাগছে।”

লাল-সবুজ ড্রেস পরেছেন কেনো জানতে পারি? জবাবে, “মহান বিজয় দিবস আজ। লাল-সবুজে চিরচেনা এদেশ তারই প্রতিফলন। আমাদের জাতীয় পতাকাতে দেখেন লাল-সবুজ। এটা মূলত শহীদের রক্ত ও বাংলার সবুজকে তুলে ধরা হয়েছে।”

ডেইলি বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হয় বিদেশি কয়েক জনের সঙ্গে। “ভাঙা ভাঙা সুরে মিষ্ঠি মধুর কণ্ঠে বলেন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, আজ বিজয় দিবসে আপনাদের সঙ্গে উৎসব করতে এসেছি, গুলশান থেকে।”

 

এবারই কি প্রথম? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে, “না, আমরা ৩ বছর ধরে লাল-সবুজের শাড়ি পরে বাঙালি সাজে পালন করি বিজয় দিবস।” উল্টো প্রতিবেদককেই জিজ্ঞাসা করেন, “কেমন লাগছে আমাদের বাঙালি সাজে?” আপনাদের সঙ্গে এদিন পালন করতে বেশ ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ, সাংবাদিক সাহেব। ডেইলি বাংলাদেশকেও ধন্যবাদ জানায় বিদেশিরা।”

তবে এবার বিদেশিদের উপস্থিতি আগের সময়ের চেয়ে কিছুটা কম।

যতই দিন যাচ্ছে, ততই মানুষের ভীড় বাড়ছে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর বিজয়ের দিনে। দলে দলে মানুষের ঢল দিচ্ছে তারই প্রমাণ। অনেকেই আসছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। কথা হয় এক পরিবারের সঙ্গে। “ছুটির দিন থাকায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে কিছুটা ভালো সময় উপহার দেয়ার চেষ্টা। এই দিন গুলোর অপেক্ষায় থাকেন পরিবারের সদস্যরা।”

সঙ্গে থাকা পাঁচ বছরের মেয়ে নাদিয়া বলে, “আমার খুব ভালো লাগছে। আব্বু আম্মুর সঙ্গে ঘুরছি।” কি মাস, জানো তুমি? উত্তরে সে বলে, “বিজয়ের মাস আজ ১৬ই ডিসেম্বর। এই দিনে বিজয় অর্জন করি আমরা।”