বুধবার   ০৮ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১   ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের মালামাল আটকে রেখেছে সাদবিরোধীরা

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৪৩ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

দেশে তাবলিগ জামাতের জন্যে কাকরাইল মসজিদে বিদেশ থেকে আসা তাবলিগ কর্মীদের পাসপোর্ট, টাকা ও মালামাল সাদবিরোধীরা আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, বিদেশি তাবলিগ কর্মীদের বিভিন্ন স্থানে গমনের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন সাদ অনুসারীরা। এদিকে পাসপোর্ট ও নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেরত না পাওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা আটজন তাবলিগ কর্মী। ইতোমধ্যে তারা পাসপোর্ট মালামাল ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

কাকরাইল মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে আসা তাবলিগ কর্মীদের জন্য কাকরাইল মসজিদে একটি আমানতখানা রয়েছে। এখানে বিদেশি তাবলিগ কর্মীদের পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র রাখা হয়। এমনকি অনেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ভ্রমণে যাওয়া আগে বেশি টাকা সঙ্গে না নিয়ে এই আমানতখানায় রেখে যান।

জানা গেছে, ইজতেমা ও ইজতেমা পূর্ব ‘জোড়’- এ অংশ নিতে কয়েকটি জামাত (দল) ইন্দোনেশিয়া থেকে নভেম্বরে বাংলাদেশে আসে। তাদের কয়েকজন ৪ ডিসেম্বর দুপুরে নিজেদের পাসপোর্ট, টাকা ও জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য কাকরাইল মসজিদে যান। ওই দিন বিকালে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকরা রমনা থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। পরবর্তীতে ৫ ডিসেম্বর তারা ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ করেন।

 

এদিকে তারা কাকরাইল মসজিদ থেকে পাসপোর্ট, জামাকাপড় এবং টাকা ফেরত না পেয়ে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে। দেশে কিভাবে ফেরত যাবে এই দুশ্চিন্তায় নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।

এসব অভিযোগকে গুজব বলছেন সাদবিরোধীরা। তাবলিগে সাদবিরোধী অংশের নেতা ড. আজগর বলেন, ‘তারা (সাদঅনুসারী) নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নানাভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’

সাদ অনুসারী তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল্লাহ মনছুর বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশি নয় বিদেশিরাও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা মেহমানদের পাসপোর্ট ও ডলার আটকে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ভয়ে মালামাল না নিয়েই দেশে ফিরে গেছেন। কোথাও কোথাও বিদেশি মেহমানদের বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।এতে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’