মঙ্গলবার   ২৮ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ১৩ ১৪৩২   ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন

নিউজ ডেক্স

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:০০ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ রোববার

দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার পালিত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস (জাবি)। ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি ১৫০ জন ছাত্র ও চারটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাবি।

সকাল সাড়ে ১০টায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের পর বেলুন উড়িয়ে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য ফারজানা ইসলাম।

এ সময় উপাচার্য বলেন, ‘নতুন জ্ঞান তৈরি এবং বিকশিত করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। যে জ্ঞান বিশ্বকে সেবা দিতে পারে, সেই জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।’ 
ফারজানা ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করছি। আগামী ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধন করা হবে। সব মিলিয়ে আমরা একটি পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছি।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি উদ্বোধনের পর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। বেলা সাড়ে এগারোটায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। বেলা সাড়ে ‍তিনটায় একই স্থানে পুতুল নাচের প্রদর্শনী হয়। বিকেল পাঁচটায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে ও সন্ধ্যা সাতটায় সাংসদ ও শিল্পী মমতাজ বেগমের একক সংগীতানুষ্ঠান হয়।

বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদের অধীনে ৩৩টি বিভাগ ও তিনটি ইনস্টিটিউটে প্রায় প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। ছাত্রদের জন্য আটটি ও ছাত্রীদের জন্য আটটি করে মোট ১৬টি আবাসিক হল রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ১০ তলা করে ছাত্রছাত্রীদের ছয়টি আবাসিক হল, ১০ তলা করে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য পাঁচটি এবং কর্মচারীদের জন্য তিনটি আবাসিক ভবন নির্মাণ, একটি লেকচার থিয়েটার ও পরীক্ষার হল, একটি প্রশাসনিক ভবন, সাততলাবিশিষ্ট একটি নতুন গ্রন্থাগার ভবন ও একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন।