শনিবার   ১৬ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ১ ১৪৩২   ২১ সফর ১৪৪৭

চীন `ছাড়ছে` স্যামসাং!

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:০৯ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার

বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থান স্যামসাং-এর দখলে। কিন্তু ডিভাইস বাজারে চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের অংশীদারিত্ব ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যে কারণে স্মার্টফোন ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই শঙ্কার কথা তুলে ধরে চীনের তিয়ানজিনে একটি মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা বন্ধ করতে যাচ্ছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস।

স্যামসাং এক বিবৃতিতে জানায়, চীনে স্থানীয় সাশ্রয়ী ডিভাইস নির্মাতাদের কারণে বিক্রি কমে যায় প্রতিষ্ঠানটির। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের দখল ছিল মাত্র ১ শতাংশ। অথচ ৫বছর আগেও চীনে তাদের দখল ছিল ১৫শতাংশ। হুয়াওয়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে বাজার দখল হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছায় প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, চীনের তিয়ানজিন স্যামসাং ইলেকট্রনিকস টেলিকমিউনিকেশনে ২ হাজার ৬০০ জন কর্মী রয়েছে স্যামসাং-এর। চলতি বছর শেষে কারখানাটির কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।

 

বিশ্বের বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি তিয়ানজিন কারখানার কর্মীদের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ দেয়ার পাশাপাশি অন্য স্যামসাং কারখানায় কাজের সুযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

ভিয়েতনাম ও ভারতের মতো ডিভাইস উৎপাদন ব্যয় কম, এমন দেশগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে স্যামসাং। চীনে প্রতিষ্ঠানটির দুটি উৎপাদন কারখানা রয়েছে। তিয়ানজিনের কারখানা বন্ধ করা হলেও গুয়াংডং রাজ্যের হুইঝু কারখানা চালু রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সেটিও বন্ধ করার চিন্তা করছে স্যামসাং!

চীনের তিয়ানজিন কারখানায় বছরে ৩ কোটি ৬০ লাখ ইউনিট মোবাইল ফোন উৎপাদন করতো স্যামসাং। অন্যদিকে হুইঝু কারখানায় বছরে উৎপাদন হয় ৭ কোটি ২০ লাখ ইউনিট। অথচ ভিয়েতনামের দুই কারখানায় বছরে ২৪ কোটি ইউনিট মোবাইল ফোন উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানটি।