সোমবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৫ ১৪৩২   ০৯ রজব ১৪৪৭

পছন্দের এপিএস পাবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা

নিউজ ডেক্স

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:৫৪ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা নিজেদের পছন্দে একান্ত সচিব (পিএস) না পেলেও পছন্দের ব্যক্তিকে সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নিয়োগ দিতে পারবেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বৃহস্পতিবার  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আগে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী তাদের পিএস নিয়োগ দিত সরকার। এবারই প্রথম পিএস কে হবেন তা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ঠিক করে দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার দুটি আদেশে উপসচিব পদমর্যাদার ৪৫ জন এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পিএস নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

পিএস পদে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেয়া হলেও এপিএস হিসেবে নিজেদের পছন্দের যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তবে এপিএস যিনি হবেন, তার অবশ্যই প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পদে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে পিএস ঠিক করে দেয়ায় এপিএস পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পছন্দ গুরুত্ব পাবে না বলে গুঞ্জন চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। সেই সংশয় দূর করে নতুন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন  বলেন, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পছন্দের ব্যক্তিকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে এখন থেকে পিএস সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।

এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সময়ের প্রয়োজনে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে অত্যন্ত যাচাই-বাছাই করে সৎ, যোগ্য এবং পরীক্ষিত কর্মকর্তাদের একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সাধারণত প্রশাসনের উপসচিব মর্যাদার কর্মকর্তাদের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর পিএস হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। অনেক সময় এ কর্মকর্তারা পদোন্নতি পেলেও মন্ত্রীরা তাদের সঙ্গে রেখে দেন। তবে এবার সরকার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পিএস ঠিক করে দেয়ায় নতুন সরকারে আসা পুরনো মন্ত্রীরা তাদের আগের পিএসকে আর রাখতে পারছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা  বলেন, এবার সরকারের পক্ষ থেকেই পিএস নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন করায় একযোগে সব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর জন্য পিএস নিয়োগ দেয়া হয়।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বিতর্ক তৈরি হওয়ার কারণে এবার এপিএস পদে পলিটিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাদ দেয়ার প্রস্তাব ছিল।

আর এপিএস হিসেবে সরকারের ক্যাডার সার্ভিস বা নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেয়ার একটি প্রস্তাবও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেসব আর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নতুন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আধা সরকারিপত্র দিলে মন্ত্রণালয় তাদের নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করবে।