বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫   চৈত্র ৩১ ১৪৩২   ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

নকল ওষুধ চিনবেন যেভাবে

নিউজ ডেক্স

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:৪২ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

সাধারণ ডাক্তারকে দেখাতে বা ওষুধ কিনতে খুব বেশি হিসাব কেউ কষে না। সুস্থ থাকার জন্য একজন চিকিৎসকের প্রতি রয়েছে যে কোনো ব্যক্তির অঢেল বিশ্বাস। এ ছাড়া কোনো ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গেলেও আমরা খুব বেশি গড়িমসি করি না। আর এখানেই ঘটছে বিপত্তি।

বাজারে আসল ওষুধের ভিড়ে রয়েছে নকল ওষুধ, যা আপনার প্রাণনাশ থেকে শুরু বড় ধরনের বিপত্তির কারণ হতে পারে। তাই আসল ওষুধ চেনা জরুরি।

আসুন জেনে নিই কীভাবে চিনবেন আসল ওষুধ-

ওষুধের মোড়ক

ওষুধ কেনার আগে প্রথমেই (বিশেষ করে বোতলজাত ওষুধের ক্ষেত্রে) দেখে নিন সিলের কোথাও কোনো সমস্যা আছে কিনা। ওষুধের ক্ষেত্রে প্যাকেজিং দেখে নিতে হবে। বানান, রং, আগে যদি সেই ওষুধ কিনে থাকেন, তার সঙ্গে মোড়কটি মিলিয়ে নিতে হবে কোনো সংশয় হলেই।

মেয়াদোত্তীর্ণ

ওষুধ কেনার সময় সবচেয়ে বেশির নজর দিতে হবে ওষুধের মেয়াদের দিকে। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ হতে পারে মৃত্যুর কারণ।

ভাঙা অংশ

ওষুধের কোথাও কোনো ভাঙা অংশ রয়েছে কিনা, গুঁড়ো ওষুধ হলে, অতিরিক্ত পরিমাণে দেয়া রয়েছে কিনা-সেগুলো মিলিয়ে নিতে হবে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে।

ক্রিস্টাল

ওষুধটি ক্রিস্টালের (কেলাসাকার) মতো হলে, সে ক্ষেত্রে আগের কেনা ওষুধের মতোই কঠিন বা নরম কিনা, কোথাও ফোলা অংশ বা দাগ রয়েছে কিনা-এগুলোও খতিয়ে দেখে নেয়া প্রয়োজন।

দাম হেরফের

ওষুধের দাম অসম্ভব বেশি বা কম হলে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। ওষুধ ক্ষতিকারক বা জাল কিনা, না অন্য কোনো কারণে দাম বেড়েছে বা কমেছে কিনা, তা দেখতে হবে। কারণ ভেজাল ওষুধেই সবচেয়ে বেশি দামের হেরফের হয়।

চিকিৎসকের পরামর্শ

ওষুধ খাওয়ার পর আচমকা শরীর খারাপ হলে বা অ্যালার্জি হলে বা কোনো রকম অসুবিধা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে সেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন।