সচেতনতা বাড়াতে হবে কিশোর-কিশোরীদের
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:১৭ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর আয়োজনে সম্প্রতি গুলশানের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে ‘স্ট্রেংগথিনিং হেলথ আউটকামস ফর ওমেন এন্ড চিলড্রেন (শো) প্রজেক্ট’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর ড. মেরী রশিদ বলেন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু কমাতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে, সরকারের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য বাংলাদেশের ৮টি উপজেলার ৭১ টি ইউনিয়নে কাজ করছি।
কানাডিয়ান সরকারের আর্থিক সহায়তায় নীলফামারীর জেলা সদর, সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা, ডোমার এবং ডিমলা প্রজেক্ট এলাকায় কাজ করছি।
এছাড়া বরগুনা জেলার বরগুনা সদর ও খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির প্রজেক্ট এলাকাগুলোতে নারী ও কিশোরীর প্রজননস্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি।
আমাদের কাজের উদ্দেশ্য স্বাস্থ্যখাতে, শিক্ষা খাতে সরকারের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণের চেষ্টা করা। নারীর প্রজননস্বাস্থ্য, কিশোরী স্বাস্থ্য, শিক্ষায় অগ্রগতি করার জন্যে ৫ বছরের নিচে এবং ১৫ থেকে ৪৯ পর্যন্ত বয়সী নারীদের নিয়ে কাজ করছি।
প্রজেক্ট এলাকায় ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীর সংখ্যা ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৬জন। ৫ বছরের নিচে শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪, বিবাহিত পুরুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭জন। কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলোতে যাতে মেয়েরা আসতে পারে এই দিকগুলোকেও গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
কিশোরী ও নারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছি।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ইরফাত আরা ইভার মতে, আমাদের উদ্দেশ্য পিছিয়ে পড়া জাতিকে কিভাবে অগ্রসর করতে পারি। কোথায় তারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সেটাকে খুঁজে বের করা।
নারীরা সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার বেশি। প্রসবকালীন সময়ে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা দূর করতে ৫ হাজারেরও বেশি নিরাপদ প্রসব করানো হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য এবং এএনসি সেবার মাধ্যমে।
৪৩ হাজারেরও বেশি গর্ভবতী এটেনশাল কেয়ার সার্ভিস পেয়েছেন। ১ হাজারেরও বেশি গর্ভবতীকে উচ্চমানের সেবা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বেস্ট ফিডিং কর্ণারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রোগীর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ক্লাবগুলোতে চেইঞ্জ মেকাররা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করছে।