ওজন কমবে শীতকালীন ফলে
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার

কীভাবে চটজলদি ওজন কমানো যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনেকেই উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে জানেন কি? শীতকালীন কিছু ফল ওজন কমাতে খুবই সহায়ক। যদিও চটজলদি ওজন কমানো শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সপ্তাহে এক কেজি ওজন কমলেও সেটা স্বাস্থ্যসম্মত। তবে জেনে নিন শীতকালীন সেসব ফল সম্পর্কে যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও এসব ফলে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। যার ফলে হজম হবে খুব দ্রুত ওজন কমে যাবে-
কমলা লেবু: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটিতে পটাসিয়াম, ফলেড ও ফাইবার রয়েছে। এসব উপাদান পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। কারণ কমলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি পেট ভরা রাখে। এছাড়াও কমলা লেবুতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। তাই ওজন বাড়ার কোনে সম্ভাবনা নেই।
পেয়ারা: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে। যে দু’টো উপাদান হজম হতে অনেক সময় নিয়ে থাকে। যার ফলে পেট ভরা থাকে। আর এ কারণে ক্ষুধা ভাবও অনেকটা কমে যায়। তাই ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাছাড়া কাঁচা পেয়ারাতে সুগারের পরিমাণ অনেক কম থাকে। কাঁচা পেয়ারাতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তাই পেয়ারা কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগীদের জন্য খুবই উপকারি একটি ফল।
লাল বা কালো আঙ্গুর: লাল আঙ্গুরে এলিজিয়েড এসিড নামক একটি উপাদান রয়েছে। যা দেহে চর্বি জমতে বাঁধা দেয়। আর পেটে কোনো নতুন চর্বি জমতে দেয় না। তাই লাল আঙ্গুর খেলে চর্বি বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। অন্যদিকে কালো আঙ্গুর খেলে শরীরে উপকারি চর্বি জমা হয়। যা খারাপ ফ্যাট সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। তাই দু’ধরণের আঙ্গুর ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সফেদা বা সবেদা: ওজন কমাতে সাহায্য করে এই ফলটি। কারণ এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে মেদ জমতে পারবে না সঙ্গে ওজন অনেক কম যাবে। এছাড়াও সবেদা আই ফি এস এর মাত্রাও কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। তাই সফেদা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি।
ডুমুর: ডুমুর ফল শুধু রক্তের জন্য নয়। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। কারণ ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে। যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এ জন্য কনসপিউশনের কোন সমস্যা থাকবে না। আর পেটের সকম ধরণের সমস্যা দূর করতেও ডুমুর সহায়তা করে। ডুমুরে সিসিন নামক একটি উপাদান রয়েছে যা আমাদের পেটের খাবারগুলো খুব দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। তাই পেটে চর্বি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। যেহেতু ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে তাই পেট অনেক সময় ভরা থাকে। এতে বারে বারে খাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এর ফলে ডুমুর খেলে ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকবে। শীতকালীন এসব ফল খেয়ে ধীরে ধীরে ওজন কমাতে পারেন। যদি এ খাদ্যগুলোর মধ্যে কোনোটিতে সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না।