রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার দাফন, স্বামীর পাশেই চিরনিদ্রায়
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:২৪ এএম, ১ জানুয়ারি ২০২৬ বৃহস্পতিবার
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই শায়িত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাকে সমাহিত করা হয়।
দাফনের পর তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার মরদেহ নিজ হাতে কবরে রেখেছেন তার জ্যেষ্ঠপুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে জুবাইদা রহমান, জাইমা রহমান, আরাফাত রহমানের স্ত্রী শামিলা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কবরে মাটি দেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে শোক ও শ্রদ্ধা জানান।
পরবর্তীতে একে একে তিন বাহিনীর প্রধান, তারেক রহমান ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল খালেদা জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। দাফন শেষে এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তার মরদেহবাহী গাড়ি জিয়া উদ্যানে পৌঁছায়। এরপর ফ্রিজার ভ্যান থেকে তার মরদেহ নামানো হয়। তারপর একটি ভ্যানে করে খালেদা জিয়ার মরদেহ সমাধি চত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সারাদেশ থেকে আসা লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেকের ইমামতিতে জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, রাশিয়া, চীন, ইরান, কাতারসহ ৩২ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন তারেক রহমান। এর আগে এ দিন সকাল ১১টা ৪৮ মিনিটের দিকে কঠোর নিরাপত্তায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় প্রোটকলে লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো ফ্রিজার ভ্যানে করে তার মরদেহ আনা হয়।
বেলা ১১টার দিকে ছেলে গুলশানে তারেক রহমানের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তার আগে সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ গুলশানে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে খালেদা জিয়ার মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
