পরিচিতরাই গুলি করেন এনসিপি নেতা মোতালেবকে, পুলিশের ধারণা
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:০৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও খুলনা বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মোতালেব শিকদারকে তার পরিচিতরাই গুলি করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১১টার দিকে খুলনা নগরীর গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে আল আকসা মসজিদ সড়কের মুক্তা হাউজে গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব।
পুলিশ জানায়, গুলি তার মাথার চামড়া স্পর্শ করে চলে গেছে। এতে রক্তক্ষরণ হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং এখন তিনি শংকামুক্ত।
গুলিবিদ্ধ মোতালেব শিকদার পেশায় ট্রাকচালক। নগরীর পল্লীমঙ্গল স্কুলের পাশে তার বাড়ি, বাবার নাম মুসলিম শিকদার। তিনি খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য। ২০২২ সালে ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে তিনি সদস্য পদে নির্বাচনও করেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি এনসিপিতে যোগ দিয়ে শ্রমিক শক্তির পদ পান।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আল আকসা মসজিদ সড়কের মুখে একটি নীল প্রাইভেটকার দাঁড়ানো। গাড়িতে এনসিপি ও শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় আহ্বায়ক পরিচয় দেওয়া বড় একটি স্ট্রিকার লাগানো। স্থানীয়রা জানান, গত রাত থেকে গাড়িটি গলির মুখে রয়েছে।
প্রধান সড়ক থেকে ‘মুক্তা হাউজ’ নামের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৪০০ ফুট। এলাকাটি ঘনবসতি পূর্ণ। ওই বাড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সমকাল। তাতে দেখা যায়, ১০টা ৫৯ মিনিটে ওই বাড়ি থেকে মোতালেবকে নিয়ে এক যুবক দ্রুত প্রধান সড়কের দিকে যান। এ সময় মোতালেবের মাথা ধরে রেখেছিলেন তিনি।
খুলনা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে আশপাশের ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে দেখা যায়, রাতে গাড়ি নিয়ে ওই স্থানে যান মোতালেব ও তার দুই সহযোগী। কেন তাকে গুলি করা হয়েছে, কারা জড়িত, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ মণ্ডল বলেন, গুলির ঘটনার পর এক নারী পলাতক রয়েছেন। মোতালেব শিকদারের গাড়িটি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে বিরোধে তার পরিচিত ব্যক্তিরাই তাকে গুলি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনসিপির খুলনা জেলার সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান ফয়জুল্লাহ বলেন, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। আমরা এনিয়ে কিছু বলতে চাই না।
