শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৪ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৫৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ও ফার্মগেটে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগের পর কার্যালয় দুটির সামনে জড়ো হওয়া শত শত ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হতে থাকে ছাত্র জনতা। শুরুতে বিক্ষুব্ধ জনতা শাহবাগের দিক থেকে মিছিল নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে সামনে উপস্তিত হন। এ সময় তারা প্রথম আলো ও ভারতবিরোধী নানা স্লোগান দেন। একপর্যায়ে কিছু লোকজন অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। সেখানকার কাগজপত্র, কম্পিউটার নিচে ফেলে দেন। এছাড়া কার্যালয়ের সামনে অগ্নিসংযোগও করেন। প্রথম আলোর সামনে অগ্নিসংযোগের পর খানিকটা দূরে অবস্থিত বহুতল ডেইলি স্টার ভবনের সামনে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধরা। তারা এক পর্যায়ে ডেউলি স্টার ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং অগ্নিসংযোগ করেন।

 

বিক্ষুব্ধ জনতাকে অগ্নিসংযোগ থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। তবে, বিক্ষুব্ধ জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা মানছেন না। অগ্নিসংযোগের পর বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। অনেককেই অফিস দুটির বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

 

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের আগুনের ঘটনায় আমাদের তিনটি ফায়ার স্টেশনের মোট ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতার কারণে ইউনিটগুলো বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রথম আলোতে দুটি ইউনিট ও ডেইলি স্টারে একটি ইউনিট আগুন নির্বাপনের কাজ করছে। পুলিশের সহায়তায় অন্য ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।