প্রহসনের বিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহ্বান
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:০৬ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার
নিউইয়র্কে জেনোসাইড ফাউন্ডেশনের সমাবেশ
‘আন্তর্জাতিক গণহত্যার শিকারদের স্মরণ ও গণহত্যার মত জঘন্য বর্বরতা প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে ‘জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশন’র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশ থেকে পলাতক ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে চলমান অরাজক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সকল প্রবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, গত ১৫ মাসের বর্বতার পরিপ্রেক্ষিতে আমার ভীষণ ভয় হচ্ছে যে, ওরা আওয়ামী লীগের কারাবন্দি নেতাদেরকেও পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বরের মত শেষ করে দিতে পারে। তাই সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি আরো বেশী সরব-সোচ্চার হবার জন্যে। আওয়ামী লীগ কী দোষ, করেছে, কী ভালো করেছে-সেগুলো বাদ দিয়ে দেশটাকে আমাদের বাঁচাতে হবে। এদেশ আমাদের। একসময় তলানীতে ছিলাম। তারপর শেখ হাসিনা এটাকে সম্ভাবনাময় দেশ, ল্যান্ড অব ভাইব্রেন্ট, ল্যান্ড অব অপচ্যুনিটিতে পরিণত করেছিলেন। এখোন আমরা আবার নীচের দিকে ধাবিতে হয়েছি। তাই এই দেশটাকে বাঁচাতে হবে। আজকের এই বিশেষ দিনে এবং দেশে যাতে আরেকটি গণহত্যা না হয়, এই যে একটা, বর্তমানের মব কালচার তৈরী হচ্ছে, আমার তাতে ভয় হয়, এই মব কালচার হ্যাভ টু বি রিপ্লেস। বাংলাদেশে এত সুন্দর, ভ্যাল্যুজ প্রিন্সিপল ছিল, একটি প্রগেসিভ কান্ট্রি হিসেবে আমরা দুনিয়াতে মাথা উঁচু করে রেখেছিলা। এখোন একটা মব কালচারারে আমরা জিহাদি দেশে পরিণত হয়েছি। এটা আমাদের সকলের জন্যেই আতংকের।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, কথিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা গ্রহণকারিদের কারণে বাংলাদেশ আবারো তলাবিহীন ঝুরিতে পরিণত হয়েছে। দুই শতাধিক কল-কারখানা বন্ধ হওয়ায় ৩০ লাখের অধিক শ্রমিক বেকার হয়েছেন-যার ৮০% হলেন নারী। তিনি উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনার সরকার দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারি মানুষের সংখ্যা কমিয়ে ২২% এ এনেছিলেন। তা এখোন বেড়ে ৩০% এর কাছাকাছি এসেছে। এমন অব্যবস্থাপনা চলতে দিলে বাংলাদেশ আবারো ভিক্ষুকের রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. প্রদীপ করের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু এই সমাবেশে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালত গঠনের প্রেক্ষাপট এবং সেই আদালতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক‘ বিচারের নামে যে প্রহসন চলছে’ তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন ঐ আদালতের সাবেক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম অমর। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সহকারি এটর্নী জেনারেল এডভোকেট রকিবউদ্দিন মন্টু এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, প্রবীন সাংবাদিক এম ফজলুর রহমান, ও এডভোকেট জাকির হোসেন । সকলেই সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথিত এই আদালতে যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে তা বিচারের নামে তামাশা। ফরমায়েসি বিচার হিসেবে ইতিমধ্যেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো চিহ্নিত করেছে। হোস্ট সংগঠনের অন্যতম নেতা এডভোকেট শাহ বখতিয়ার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
