সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১ ১৪৩২   ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ডিপোর্টেড এক বাংলাদেশির করুণ অভিজ্ঞতা

আজকাল ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:২৬ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার


  পশুপাখিকেও এমন খাবার দেয় না 
 
 

 
"এখনও আমার হাতে দাগ, কোমরে দাগ, আমার পুরো শরীরে স্পট হয়ে আছে। বাংলাদেশে বিমানবন্দরে নামার আগে ৭৫ ঘণ্টা আমাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয়েছিল, এমনকি বাথরুমেও যেতে দেয়নি।"
বিবিসি বাংলাকে এভাবেই নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিচ্ছিলেন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশি নাগরিক ফয়সাল আহমেদ (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকায় ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে)।
আহমেদ জানান, পাঁচ বছর আগে ভিজিট ভিসায় বলিভিয়ায় গিয়ে আর দেশে ফেরেননি তিনি। সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে প্রায় ছয় মাসের চেষ্টায় পেরু, ইকুয়েডর, মেক্সিকো হয়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ঢোকেন যুক্তরাষ্ট্রে। পরিচিত জনদের বাসায় আশ্রয় নিয়ে তখন থেকেই বৈধ হওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন।
"ওই সময় পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল। থেকে যাওয়ার প্রক্রিয়াটাও খুব ইজি ছিল। বাইডেনের সময় এটা অনেকেই করেছেন," বলেন মি. আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে গত পাঁচ বছরে সেখানকার বৈধ কাগজপত্র পাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন কিংবা তিনবার ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করেও কাজ হয়নি। আহমেদ অভিযোগ করেন, অ্যাটর্নি পরিচয় দিয়ে আইনি সহায়তার নামে সেখানেও বাঙালিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্র তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, তার ক্ষেত্রে অবশ্য সংকটের শুরুটা হয় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনের পর। অবৈধভাবে দেশটিতে থাকা অন্য সবার মতো বিপদে পড়েন ।

বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ছয় মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়ের্ক থেকে গ্রেফতার হন আহমেদ। সেখান থেকে তাকে বাফেলোর একটি ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়া হয় তাকে। এরপর জায়গা বদলে সে সহ আরো কয়েকজনকে হাতে পায়ে শেকল পরিয়ে নেওয়া হয় লুইসিয়ানার আরেকটি কারাগারে।