শনিবার   ২২ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩২   ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

স্টেট ডিপার্টমেন্টে যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের স্মারকলিপি পেশ

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ১২:৫৩ এএম, ২২ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার

হাসিনার মৃত্যুদন্ডের রায় প্রত্যাখান

 
 
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড রায়ের প্রতিবাদে ওয়াশিংটন স্টেট ডিপার্টমেন্টে  স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।।
ইউএস সেক্রেটারি অব স্টেট  মার্ক রুবিও বরাবর ড. ইউনূসের অবৈধ আইসিটি কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লেখা স্মারকলিপি প্রদান করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।  সাথে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সোলেমান আলী, শরীফ কামরুল আলম হিরা, আশরাফ উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ দরুদ মিয়া রনেল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, সাহানারা রহমান, ব্যারিস্টার আকরাম, নিউইয়র্ক মহানগর আঃলীগ সভাপতি রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি চঞ্চল, নাহিদ রেজা জনি, মমতাজ শাহনেওয়াজ, মহিলা আঃলীগ, লোকমান হোসেন রাজু, আব্দুল সাইদ খান, সাধারণ সম্পাদক, পেনসিলভেনিয়া স্টেট আঃলীগ, মাহমুদন নবী বাকি সভাপতি, জিআই রাসেল, ড. জাহিদ হোসেন, তারেকুল হায়দার, বাহার খন্দকার সবুজ, আমিনুল ইসলাম, মাহমুদ রহমান, ইকবাল হোসেন ও  সৈয়দ কিবরিয়া সহ আরও অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির রায় প্রত্যাখান করে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ,নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ।
 সংবাদ সম্মেলন থেকে  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আগামী ১৯ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।
গত ১৭ নভেম্বর রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। 
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন যে কোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশের জনগণ এই  প্রহসনের নির্বাচন মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী,সমর্থক ও দেশের মানুষ এই সাজানো নির্বাচন বাঞ্চাল করে দেবে। 
অপর এক প্রশ্নে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যারা আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে সাজানো, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রহসন এই বিচারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের বিচার বাংলার মাটিতে করা হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় দেয়া হয়েছে তার ন্যায় বিচার পেতে  আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে যাবেন কি ? এই প্রশ্নের উত্তরে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুকে বিশ্বাস করি না। যে সংস্থা হাজার হাজার ফিলিস্থিনি হত্যার বিচার করতে পারে না, তাদের কাছে আমরা কোন প্রকার দেন-দরবার করবো না। আমাদের আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থা হচ্ছে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও দেশের মানুষ। তারাই এই অবৈধ রায়ের বিচার করবে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ এর পরিচালনায় ‘মিট দ্যা প্রেস‘ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, ভাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে,বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুনি ফ্যাসিস্ট ইউনুসের ক্যাঙ্গারু কোর্টে প্রহসনমূলক বিচারের রায়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলা হয়: এই রায় আমাদের কাছে সম্পূর্ণরূপে সাজানো, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। এই রায় ন্যায়বিচারকে উপহাস করা, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করা এবং গণতন্ত্রকে বিপথগামী করার নগ্ন প্রচেষ্টা। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে ও সর্বসম্মতভাবে এই অন্যায়, অবিচার ও অপতৎপরতাপূর্ণ রায় প্রত্যাখ্যান করছি।
লিখিত বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছি যে বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত আজকের রায় আমাদের কাছে সম্পূর্ণরূপে সাজানো, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। এই রায় ন্যায়বিচারকে উপহাস করা, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করা এবং গণতন্ত্রকে বিপথগামী করার নগ্ন প্রচেষ্টা। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে ও সর্বসম্মতভাবে এই অন্যায়, অবিচার ও অপতৎপরতাপূর্ণ রায় প্রত্যাখ্যান করছি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই রায় কোনো বিচারের অংশ নয়; এটি ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতির পুনরুত্থান। যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা আজ আবার নতুন চেহারায়, নতুন কৌশলে মাঠে নেমেছে। তাদের লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করা, উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়া এবং জাতিকে আবারও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া। আজকের রায় সেই নীলনকশারই সংস্করণ।
এই পরিস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় ১৯৭১ সালের সেই বিভীষিকাময় ডিসেম্বরকে, যখন পাকিস্তানের মিয়াঁওয়ালির কারাগারে বন্দী বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সামরিক গোপন আদালত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিল। নির্জন সেলে তাঁর সামনে খোঁড়া হয়েছিল কবর, যেনো বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে চিরতরে দাফন করার প্রস্তুতি। কিন্তু ইতিহাসের অমোঘ শক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা সে ঘৃণ্য পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দেয়।
ইতিহাস তখন যেমন পরাজিত ষড়যন্ত্রের মুখোশ তুলে দিয়েছিল, আজও সেই ইতিহাস একই সত্য উচ্চারণ করছে, যে শক্তি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সেই অপশক্তি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হবেই। 
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন শামসুদ্দিন আজাদ, রফিকুর রহমান,এমদাদ চৌধুরী, সোলায়মান আলী, নাফিকুর রহমান তুরান আজমল হোসেন শাহী, দুরুদ মিয়া রনেল, এম জাহিদ হাসান, সাখাওয়াত হাসান, হাজি জহিরুল ইসলাম ও শরীফ আলম হীরা।