রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:১৮ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার
সার গম চাল এলএনজি ই-পাসপোর্ট ও ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাব অনুমোদন
বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করা হবে। এ-সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘হোস্ট অ্যান্ড এফডিএমএন এনহ্যান্সমেন্ট অব লাইভস থ্রু ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (হেল্প)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় হেল্প/ইউএন-১ প্যাকেজের কাজ ইউএন এজেন্সি আইওএমের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
জানা গেছে, প্যাকেজের আওতায় কক্সবাজার জেলার দুর্যোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এফডিএমএন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রবেশাধিকার এবং নিরাপত্তা উন্নত করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৬৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন বলেন, মিয়ানমার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের যে স্থাপনা ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ব্যাপারে। অনেক কিছু স্থাপনার ব্যাপারে গ্রান্টের টাকা আছে, ওখান থেকে আমরা এটা করব। একই স্থানে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো :
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে যথাসময়ে ঝুঁকিবিহীনভাবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন অনুসারে জিটুজি ভিত্তিতে গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা কমিটি।
এ ছাড়া ১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা ব্যায়ে ই-পাসপোর্ট বুকলেট ক্রয়, এক হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ২ লাখ ২০ হাজার টন সার, ৪৯০ কোটি টাকার সিঙ্গাপুর থেকে এলএনজি এবং ৪২০ কোটি টাকায় ইউনিসেফ থেকে ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
