ঐক্যের অভিযাত্রায় ব্রংকস কমিউনিটি
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:০০ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার
একক প্রার্থী সিপিএ জাকির চৌধুরী
প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাব পার্কচেষ্টার এলাকা নিয়ে গঠিত নিউ ইয়র্ক স্টেটের ডিস্ট্রিক্ট-৮৭ । এ আসনে একজন অ্যাসেম্বলিম্যান নির্বাচিত হন। পার্কচেষ্টার কনডোমোনিয়াম সহ এ ডিস্ট্রিক্টে বাস করেন প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশি ভোটার। ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট দিতে গেলে অনায়াসেই বাংলাদেশি একজন অ্যাসেম্বলিম্যান নির্বাচিত হতে পারেন। আসন্ন নির্বাচনে এবার ৩ প্রবাসী বাংলাদেশি এ আসনে নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা হলেন সিপিএ জাকির চৌধুরী, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট জামাল হুসেইন ও রাজনীতিক ইমরান এম শাহ রন। কিন্তু স্থানীয় কমিউনিটির লোকজন একক প্রার্থীতার গুরুত্ব অনুভব করেন। তারা বসেন আলোচনায়। গঠিত হয় একক প্রার্থী বাছাইয়ে সমন্বয় কমিটি। নেতৃত্বে থাকেন এম এন মজুমদার,ওয়াহিদ জাকি ও ডিটেকটিভ মাসুদ। পরে এ প্রক্রিয়ার সাথে প্রায় ৫০ জন কমিউনিটি সদস্য সম্পৃক্ত হন। তারা একাধিকবার বৈঠক করে ঐকমত্যের কাছাকাছি চলে আসেন।
তাদের উদ্যোগেই ব্রংকসের বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। নিউ ইয়র্ক স্টেটের ডিস্ট্রিক্ট-৮৭ থেকে অ্যাসেম্বলিম্যান পদে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিন জন প্রবাসী বাংলাদেশি-আমেরিকান । আশঙ্কা ছিল-একই পদে একাধিক প্রার্থী দাঁড়ালে ভোট বিভক্ত হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত কেউ জয়ের মুখ দেখবেন না। তবে এবার ঘটেছে ব্যতিক্রম।
‘ব্রংকস বাংলাদেশি কমিউনিটি- ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী’ ব্যানারে আয়োজিত এক ঐতিহাসিক বিতর্ক সভায় তিন প্রার্থীই অংশ নেন। আয়োজিত দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সভায় তারা নিজেদের ভাবনা, কর্মপরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ ভিশন তুলে ধরেন। প্রার্থীরা ইংরেজি ভাষায় বিতর্কে অংশ নেন। উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বিতর্কে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থীদের সমর্থক ও কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা। বিতর্কটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সাংবাদিক শামীম আল আমীন। তিনি সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করেন। পরিশেষে ইলেকট্রনিক ভোটাভুটির মাধ্যমে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হন সিপিএ জাকির চৌধুরী। অপর দুই প্রার্থী জামাল হুসেইন এবং ইমরান এম. শাহ ভোটের ফলাফল মেনে নিয়ে জাকির চৌধুরীকে বিজয়ী করতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
এই দৃশ্যটি উপস্থিত সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ঐক্য, শ্রদ্ধা ও গণতন্ত্রের প্রকৃত সৌন্দর্যের এক জীবন্ত উদাহরণ হয়ে ওঠে সেই মুহূর্ত।অনেকেই বলেছেন, এটি শুধু একটি “বিতর্ক অনুষ্ঠান” নয়। বরং উপস্থিত দর্শকরা বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করেছে মতের ভিন্নতা থাকলেও ঐক্যবদ্ধ থাকা সম্ভব।এটি সত্যিই ব্রঙ্কস কমিউনিটির গর্ব।”
