মুশফিকুল ফজল আনসারীকে নিয়ে ন্যান্সির আবেগঘন স্ট্যাটাস
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:২৪ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর ভূঁয়সী প্রশংসা করে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।
২০ অক্টোবর রাত ৯টায় নিজের অফিসিয়াল ফেসুবক পেজে মুশফিকুল ফজল আনসারীর ছবি দিয়ে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দেন ন্যান্সি। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
কিছু মানুষ আছেন, যাদের কথা ভাবলেই হৃদয়ে একটা শ্রদ্ধা ও প্রেরণার ঢেউ জেগে ওঠে।
মুশফিকুল ফজল আনসারী ভাই আমার কাছে তেমনই একজন মানুষ যার জীবন, কাজ আর ব্যক্তিত্ব সবকিছুতেই আছে এক অদ্ভুত আলোকছটা। তার কর্মজীবনের প্রতিটি অধ্যায় যেন এক অনুপ্রেরণার গল্প।
সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু, তরুণ বয়সেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপ-প্রেস সচিব ; তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক কূটনীতির মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব। তার প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল অধ্যবসায়, সাহস আর অসীম দায়িত্ববোধ। তিনি কখনো সহজ পথ বেছে নেননি, নেননি আপসের পথও।
সত্যের পাশে থেকেছেন, ন্যায়ের পক্ষে লড়েছেন, নিজের মর্যাদা ও দেশের সম্মান দুটোই একসাথে ধরে রেখেছেন মাথা উঁচু করে।
যে সময়ে অনেকে চুপ থেকে নিরাপদ থাকতে চেয়েছেন সেই সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক প্রেস ব্রিফিং, জাতিসংঘ ও অন্যান্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সামনে বিগত স্বৈরাচারের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের হাতে দেশের মানুষের জুলুম নিপীড়নের শিকার হবার কথা একাধারে বলে গেছেন।
সাংবাদিকতা-কর্মের কারণে তিনি দীর্ঘ সময় পরিবারসহ বিদেশে (নির্বাসিত) থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। দেশে থাকা উনার পরিবারের অন্য সদস্যরা নানামুখী হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তবুও সাংবাদিকতার পথে তিনি স্বতন্ত্রভাবে মানবাধিকার, নির্বাচন বিষয়ক এবং গণতন্ত্র-মতপ্রকাশ-স্বাধীনতা বিষয়ক বিষয়াবলি তুলেছেন। তার ভেতরে যে দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস তা আসলে খুব কম মানুষের মধ্যে দেখা যায়। তিনি আমাদের বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন সৎ থাকা মানে সবসময় সহজ নয়, কিন্তু শেষপর্যন্ত সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী।
আমার কাছে তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রদূতই নন; তিনি একজন যোদ্ধা, একজন আলোকিত মানুষ- যিনি নিজের অবস্থান, নিজের কথা, আর নিজের মূল্যবোধ কখনও হারাননি।
আমি ভাগ্যবান যে তাকে কাছ থেকে জানতে পেরেছি, শ্রদ্ধা করতে পেরেছি।
তিনি এমন একজন পরোপকারী মানুষ যার পথচলা দেখলে নিজের মধ্যেও ভালো কিছু করার ইচ্ছা জেগে ওঠে।
যিনি নিঃশব্দে প্রমাণ করে গেছেন—একজন মানুষও পারে পার্থক্য গড়ে দিতে, যদি সে নিজের নীতিতে অটল থাকে। দৃঢ়তা, বিনয় আর অবিচল দেশপ্রেম তাকে আলাদা করেছে বাকিদের থেকে। প্রতিবার তার কোনো কাজ বা বক্তব্য দেখে মনে হয়, এটাই তো সেই মানুষ যার মতো হতে পারলেই নিজের বিবেকের কাছে শান্তি পাওয়া যায়।
‘মুশফিকুল ফজল আনসারী'
ভাই, আপনার প্রতি রইলো আমার গভীর শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।