বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫   চৈত্র ৩১ ১৪৩২   ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

কোল্ড অ্যালার্জি হলে যা করবেন

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৩৩ এএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

শীতের ভোরে লেপের নিচে আর একটু সময় কাটাতে কার না মন চায়, কিন্তু সময়কে তো আর বেঁধে রাখা যায় না। বিছানা ছেড়ে শেষমেশ উঠতেই হয়। তার পরই হয়তো শুরু হলো প্রচণ্ড হাঁচি, নাক বেয়ে পানি পড়া আর সর্দির যন্ত্রণা। শীতের সকালে এমনি সমস্যায় ভোগেন অনেকে।

সারাটা সকাল হয়তো অগণিত হাঁচি উৎপাদনেই কেটে যায়। সেই সঙ্গে করতলগত থাকে সর্দিভেজা রুমাল আর রক্তজবা জোড়া চোখ। শীতের এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিক থেকে বিবেচনা করলে এর নাম দেওয়া যায় ভেসোমোটর রাইনাইটিস।

করণীয়

শীতের হাঁচি ও সর্দির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া খুবই সহজ। যে কারণে সমস্যাটি হচ্ছে তা এড়িয়ে চলতে পারলেই সমস্যা অনেকাংশ কমে আসবে।

• সকালে বিছানা ছেড়ে ওঠার পর ঠান্ডা ফ্লোরে কিংবা মাটিতে কোনো অবস্থাতেই খালি পায়ে হাঁটা ঠিক হবে না। বিশেষ করে যারা খালি পায়ে হেঁটে অভ্যস্ত নন এবং ঠাণ্ডা পরিবেশে কম গেছেন,তাদের বেলায় এ সমস্যা বেশি হয়। বাচ্চাদের শীতের সকালে গরম কাপড়ের সঙ্গে মাথায় ক্যাপ ও পায়ে মোজা পরাতে পারেন।

• সর্দির জন্য এ সময়ে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ, যেমন- হিস্টাসিন, হিস্টাল, এভিল , এক্সপিলিন ইত্যাদি ট্যাবলেট তাৎক্ষণিকভাবে খেয়ে নেওয়া যায়। এ ছাড়া এ কারণে নাক বন্ধের জন্য নাকের ড্রপ, যেমন- এন্টাজল, রাইনোজল, নোভিন ইত্যাদি দুই-তিন ফোঁটা করে দিনে তিনবার নাকের ছিদ্রপথে ব্যবহার করতে পারেন। তবে যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

• প্রতিদিনই সমস্যা হতে থাকলে সে ক্ষেত্রে রাতে ট্যাবলেট এভিল রিটার্ড একটি করে খেয়ে নিতে পারেন।

• যারা সকালবেলা জগিং করেন তারা নাক-মুখ ঢেকে নিলেই ভালো করবেন।এ ছাড়া প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপখাইয়ে নিতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি রাখতে হবে।

• প্রয়োজনে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।