প্রবাসীদের ভোটার আইডির নামে মূলা
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৫:০৪ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ শুক্রবার
ভোটার আইডি/ন্যাশনাল আইডি নিয়ে প্রবাসীদের ভোগান্তির শেষ নেই। মূলা ঝুলিয়েছেন সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের ১০ ভাগ প্রবাসীও আগামী নির্বাচনের আগে স্থানীয়ভাবে ভোটার আইডি করতে পারবেন না। অথচ কত না ঢাকডোল পিটিয়ে এ কার্যকমে উদ্বোধন করা হলো। প্রবাসীরা ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করে অনলাইনে আবেদন পূরণ করছেন। শেষে এপোয়েন্টমেন্ট এর জন্য ক্লিক করলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠছে নভেম্বর পর্যন্ত ফুল। অর্থাৎ আগামী নভেম্বরের পরে হয়তো ডেট পাওয়া যাবে। কিন্তু ইলেকশন কমিশনের ঘোষণা মতে ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা ভোট দিতে চাইলে ভোটার আইডি করতে হবে নভেম্বরের মধ্যে। আজকাল প্রতিবেদককে নিউইয়র্কে বসবাসরত একাধিক বাংলাদেশি এপোয়েন্টমেন্ট না পাবার অভিযোগ করেছেন। কনস্যুলেটে গিয়েও অনেকে সহায়তা পাচ্ছেন না। এদিকে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট ও ওয়াশিংটন দূতাবাসে কচ্ছপ গতিতে ভোটার আইডি তৈরির কাজ চলছে। যে লজিস্টিক্যাল সাপোর্ট তাদের রয়েছে তাতে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জনের বেশি আইডি তৈরি করা সম্ভব নয়। গড়ে প্রতিদিন ২০টি করে আইডি দিলে আগামী নভেম্বরের মধ্যে নিউইয়র্ক কনসুলেট দিতে পারবে মাত্র ৭০০টি। কোনভাবেই ১ হাজারের উপরে যেতে পারবে না। অথচ নিউইয়র্কে কমপক্ষে ৫০ হাজার বাংলাদেশি ভোটার আইডির অপেক্ষায়। বৃহস্পতিবার কনসাল জেনারেল মোজাম্মেল হকের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মর্তুজার দৃষ্টি আর্কণষন করা হয় ভোটার আইডি প্রদানের অগ্রগতি নিয়ে। তিনি আজকালকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষকে ভোটার আইডি প্রদানের সক্ষমতা বর্তমানে কনস্যুলেট বা দূতাবাসের নেই। নেই কোন জনবল ও লজিস্টিক্যাল সাপোর্ট। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রবাসীদের আকাংখার প্রতিফলন সরকার ঘটিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতার কারনেই সকল প্রবাসীকে ভোটার আইডি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে দেয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ থেকে জনবল এনে কার্যক্রম বাড়ানো কি সম্ভব নয়? জবাবে প্রেস মিনিস্টার বলেন, এমন অনুরোধ আমরা করেছি। জবাবের অপেক্ষায়। তবে একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে দাবিটি প্রবাসীরা দীর্ঘদিন করে আসছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী সকল বাংলাদেশিকে ভোটার আইডি/ন্যাশনাল আইডির আওতায় আনতে অনেক সময় লাগবে। এই প্রক্রিয়াটি চলমান রাখাতে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
