সোমবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ২০ রবিউস সানি ১৪৪৭

নোয়াখালী ও কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে মানববন্ধন

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:১০ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার

 


  

 
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বৃহত্তর নোয়াখালীবাসী। গত ৭ অক্টোবর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস- এলাকার ডাইভার্সিটি প্লাজায় এ মানববন্ধনে নোয়াখালী-ফেনী-লহ্মীপুরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। ফুলটন ফ্রেন্ডস ক্লাব ইনক ও বৃহত্তর নোয়াখালী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী’র ব্যানারে এই আয়োজনে কমিউনিটির সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অনেকেই একাত্বতা প্রকাশ করেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মোতাহার হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির এইচ চৌধুরী,সোসাইটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ফকরুল আলম, মানববন্ধন পরিচালনা করেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ মশিউর রহমান রুবেল। আরো উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, সালাউদ্দিন মানিক, ফখরুল ইসলাম, শরিফ হোসেন, রিয়াজ মাহমুদ প্রমুখ।

নোয়াখালীবাসীকে বিভাগ ঘোষণার দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে মানববন্ধনে জানানো হয়। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের এক তৃতীয়াংশ যায় প্রবাসী বৃহত্তর নোয়াখালীবাসীদের মাধ্যমে। তাই দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে প্রবাস থেকে রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ রাখার ঘোষণাও দেন। 
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুমিল্লা থেকে রাজধানী ঢাকা মাত্র ৪৫ মিনিটের দূরত্ব। তাই সেখানে বিভাগ ঘোষণা অনুচিত। আবার নোয়াখলী থেকে কুমিল্লা দুই ঘণ্টার পথ আবার চট্টগ্রামও দুই ঘণ্টার পথ। তাই চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে নিয়ে কুমিল্লা বিভাগে যুক্ত করার অবাস্তব চিন্তা। এ অবস্থায় অঞ্চলিক কেন্দ্র ও প্রচীন জনপদ বিবেচনায় নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা করতে হবে। কারণ এক সময় ফেনী, লক্ষীপুর ও নোয়াখালীর কেন্দ্রও ছিল মাইজদী, যা নোয়াখালীর প্রধান শহর। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিকভাবে নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবি জানানো হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। নোয়াখালীসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর জনগণ উন্নয়ন ও প্রশাসনিক সেবায় বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে নোয়াখালী বিভাগ ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ‘নোয়াখালী বিভাগ চাই, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, ‘দাবি মোদের একটাই, নোায়াখালী বিভাগ চাই, ইত্যাদি শ্লোগান দেন। 

এদিকে কুমিল্লা নামে বিভাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিউইয়র্কে প্রবাসি কুমিল্লাবাসি। 
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস ডাইভার্সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন  কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির যুক্তরাষ্ট্রের  আহবায়ক সারোয়ার খান বাবু,  সদস্য সচিব এস এম সোলায়মান,  যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার নেতা জয়নাল আবেদীন,  নিউইয়র্ক বাংলাদেশ ক্লাব সেক্রেটারি মমিনুল ইসলাম মজুমদার,  ইতালি প্রেসক্লাব সভাপতি মাকসুদ সরকার, নিউইয়র্কে শাপলা সোসাইটির সেক্রেটারি রুহুল আমিন, জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক সেক্রেটারি ব্যবসায়ী জে মোল্লা সানী, নারী নেত্রী রীমি ভূইয়া, কুমিল্ল প্রেস ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি শাখাওয়াত হোসেন সেলিমসহ নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী কুমিল্লার নেতৃবৃন্দ। 
বক্তারা বলেন,  কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য নতুন কোন অবকাঠামো লাগবেনা।। একটি বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য যত গুলো ভিত্তি থাকা দরকার কুমিল্লায় তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। যা অনেক বিভাগীয় শহরেও নেই।  বক্তারা আরো বলেন, দেশের লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা- চট্রগ্রাম মহাসড়ক বেশির ভাগই অংশই কুমিল্লায়। রয়েছে কুমিল্লা- সিলেট,  কুমিল্লা-নোয়াখালী,  কুমিল্লা - চাদপুর মহাসড়ক। দেশের লাকসাম ও আখাউড়া বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন,  বিবিরবাজার ও আখাউড়া স্থলবন্দর,  ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নদী সং যোগ, বৃহত্তম কেন্দীয় কারাগার,  বৃহত্তর সেনা নিবাস, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বার্ড, কুমিল্লা ইপিজেড,  কুমিল্লা বিমানবন্দর যার রাডার এখনো আন্তর্জাতিক আকাশ পথে ব্যবহার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। দেশের প্রথম ব্যাংকের শহর কুমিল্লা।প্রাচীন ত্রীপুড়ার রাজধানী এই কুমিল্লাকে বাদ দিয়ে  দেশে অনেক কম অর্থনৈতিক উন্নত অঞ্চলকে বিভাগকে করা হয়েছে।  রাজনৈতিক রোষানলে আটকে আছে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন। 
বর্তমান নিরপেক্ষ সরকারের কাছে আহবান বঞ্চিত কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করুন। মনে রাখবেন কুমিল্লা এগিয়ে গেলে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।