শনিবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৪ ১৪৩২   ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অঘটন ঘটাতে মরিয়া আওয়ামী লীগ

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৩৭ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার


 
অঘটন ঘটাতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো। হিরো হতে চায়। চায় নেত্রীর কাছে বাহবা পাঠাতে। লন্ডনকে পেছনে ফেলতে চায় নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ। অর্ন্তবর্তি সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী যে কাউকেই পেলে হেনস্থা করতে প্রস্তুত। সেটা জাতিসংঘের সামনে, ম্যানহাটন, জেএফকে বিমানবন্দরে এমনকি জ্যাকসন হাইটসে। ঘোষণা দিয়ে আওয়ামীলীগ বিভিন্ন স্টেট থেকে কর্মিও নিয়ে আসছে। থাকার ব্যবস্থা করছে হোটেলগুলোতে। ড. ইউনূসের ব্যাঙ্গাত্মক পোষ্টারে ছয়লাব কুইন্স, ব্রংকস ও ব্রুকলিন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন মধ্যরাত অবধি তারা জ্যাকসন হাইটসে থাকবেন। তিনি বলেছেন, ভয়ানক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। যেখানেই ইউনূস, সেখানেই প্রতিরোধ। 

দেশে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচিত সরকার না থাকায় নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। পতিত ও বিতারিত সরকারের অনুসারিরা বলিয়ান হয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করছে। ইঊনূস সরকারের ব্যর্থতা ও জন আকাংখা পূরণ না হওয়ায় জনগনও হাসিনার দুঃশাসন ভূলতে বসেছে। নিষিদ্ধ হবার পরও তারা দেশে ঝটিকা মিছিল করছে। সোশাল মিডিয়ায় ভীষণ তৎপর। লন্ডনে অর্ন্তবর্তি সরকারের উপদেষ্টাকে হেনস্থা করেছে। শক্তির মহড়া দেখিয়েছে আওয়ামী শক্তি। নিউইয়র্কে গত মাসেই আওয়ামী সর্মথকরা বাংলাদেশ কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছে। দরজা জানালা ভাংচুর করেছে। 
ড. ইউনূসের নিউইয়র্কে আগমন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নানা ধরনের জঙ্গি কর্মিসূচি ঘোষণা করেছে। যেকোনভাবে ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের হেনস্থা করে তারা লাইম লাইটে আসতে চায়। শেখ হাসিনাকে তাদের শক্তিমত্তা দেখাতে মরিয়া তারা। যেখানেই ইউনূসের সফরসঙ্গীদের পাবে তাদের উপর হানা দেবে। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেট নিরাপত্তার ব্যাপক প্রন্তুতি নিয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ বাহিনী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের বিশেষ প্রোটেকশন দিবে। সফরসঙ্গীর চমকের তালিকায় বিএনপির ফকরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতের ডা. আবু তাহের। ইউনূসের এই সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও জামায়ত ছিল রিলাকটেন্ট। তাদের কোন কর্মসূচি ছিল না। ছিল না অভিনন্দন বা স্বাগত জানানোর কোন আয়োজন। কিন্তু ফকরুল ও তাহের আসায় স্থানীয় দল দুটির নেতারা নড়েচড়ে বসছেন। তাদের নেতাদের নিরাপত্তা ও সন্মান রক্ষার্থেই আওয়ামী লীগের কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে। আর এতে সংঘাতের আশংকার মাত্রা যোগ হচ্ছে কমিউনিটিতে। শেখ হাসিনার আগমনে অতীতেও এ ধরনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি হয়েছে। সংঘাত হয়েছে। পুলিশ ডাকাডাকি হয়েছে। অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। এবারও কি তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে?