‘চুপ থাকো, তোমার জন্য এসব হয়েছে’, আদালতে মতিউরকে স্ত্রী
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:২৮ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার

দুর্নীতির মামলায় ছাগলকাণ্ডের আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়লা কানিজের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
শুনানির সময় আদালতের কাঠগড়ায় ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। এ সময় মেজাজ হারিয়ে মতিউরকে ধমক দিয়ে তার স্ত্রী লায়লা বলেন, ‘তুমি চুপ থাকো। তোমার জন্য এসব হয়েছে।’ এরপর চুপ হয়ে যান মতিউর।
আজ আসামিদের কারাগার থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুর ২টা ৫ মিনিটে তাদের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
সেখানে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন মতিউর ও লায়লা কানিজ। এ সময় এগিয়ে গিয়ে কাঠগড়ায় মতিউর কথা বলতে গেলে লায়লা কানিজ ধমক দেন।
লায়লা কানিজ বলেন, ‘তুমি বেশি কথা বলো। চুপ থাকো। আমি বলছি। তোমার জন্য এসব হয়েছে।’
স্ত্রীর ধমকের পর মতিউর দমে যান। পরে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেন লায়লা।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমান এবং লায়লা কানিজের দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে অসদুদ্দেশ্যে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকা মূল্যমানের সম্পত্তির তথ্য গোপন করার এবং ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগসাজশে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকা মূল্যমানের সম্পত্তি অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অপরাধেমামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন। তাদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করার তথ্য রয়েছে। প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে এ জাল-জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটন এবং এর সাথে অন্য কারো সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না তা জানা দরকার। এছাড়া মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের মেয়ে ফারজানা রহমানের নামে জ্ঞাত আয়ের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার বিষয়ে মতিউর রহমান এবং লায়লা কানিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
গত ৬ জানুয়ারি ফারজানা রহমানের নামে ২ কোটি ৪৫ লাখ গোপন ও ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলাটি দায়ের করে। মামলায় মতিউর রহমানকে সহযোগী আসামি করা হয়।