আমরা জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত: সালাহউদ্দিন আহমদ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:২২ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের জন্য প্রত্যেক দলের কাছে দুজন প্রতিনিধির নাম চাওয়া হয়েছিল, আমরা সেটি জমা দিয়েছি। আমরা জুলাই জাতীয় সনদের স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত। আমরা এর আগেও আমাদের সেই অবস্থানটা ব্যক্ত করেছি।’
আজ রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলই কীভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে তাদের মতামত দিয়েছে, আমরাও দিয়েছি। আমরা এটিও বলেছি যে, এর বাইরেও যদি কোনো বৈধ, আইনানুগ, সাংবিধানিক পন্থা থাকে তবে আমরা তা মেনে নেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কোনো খারাপ নজির স্থাপন করতে চাই না, যেটার মধ্যে দিয়ে সংবিধানের সংশোধনী আনয়নের জন্য কোনো অতিরিক্ত বা বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মধ্য দিয়ে আইনি ক্ষমতার বাইরে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তনের কোন নজির সৃষ্টি হোক।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কাছেও আমি আহ্বান জানিয়েছি যে, আপনি বিচার বিভাগের পরামর্শ নিতে পারেন। এই সনদ বাস্তবায়নের জন্য আইনি কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আপনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। অথবা এর বাইরে যদি কোনো আইনানুগ ও বৈধ প্রক্রিয়া থাকে তাহলে তাতেও আমরা একমত হব। কিন্তু যে জুলাই সনদ আমরা জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন করছি, একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলিল, সাংবিধানিক দলিল। এই দলিলটাকে যাতে আমরা জাতির কাছে প্রশ্নাতীত ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, ভবিষ্যতে যেন এটা বিচারিক চ্যালেঞ্জ করতে না হয় সেজন্য এ বিষয়ে একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমার দ্বিতীয় মতামত ব্যক্ত করেছি, যেন দরকার হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ছোট ছোট মিটিং করে কীভাবে এই সময় বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে সকলকে ঐক্যমতে আনতে পারেন। সে বিষয়ে আপনার এখতিয়ার আছে। আপনি আহ্বান জানালে আমরা সবসময় আসি এবং আসবো।’
কমিশনের সঙ্গে অধিকতর আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের আলোচনা আরো চলবে। ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামীকাল শেষ হবে, উনারা আশা করছেন সেটা আরো বৃদ্ধি করা হবে।
নির্বাচন নিয়ে সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা জোর দিয়ে বলেছি যে, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবশ্যই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং এটার কোনো বিকল্প নেই। এবং নির্বাচন কোনো কিছুর ওপরে নির্ভরশীল নয়। সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন এগুলো মিউচুয়ালি ইন্ডিপেন্ডেন্ট কোনো বিষয় নয়। নির্বাচন হতেই হবে, সংস্কার চালু থাকবে, বিচার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এগুলো কোনোটার ওপরই কোনোটা নির্ভরশীল নয়।’