সেই মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:১৮ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার

সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাগারে পাঠানো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির রমনা থানায় মামলাটি করে থানা পুলিশ।
আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে এনায়েত করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। তার মামলাটি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামীকাল তার রিমান্ড শুনানি হবে।
এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এনায়েত করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পাশাপাশি পুলিশ তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে এনায়েত করিম একটি প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছিলেন। পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে ঘোরাঘুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি আইফোনও জব্দ করা হয়। দুটি আইফোন সেটে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অনেক তথ্য পেয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার এনায়েত বিশেষ দেশের গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তিভিত্তিক এজেন্ট। জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত জানিয়েছেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার খুব নাজুক অবস্থায় আছে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গেও তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই তিনি সরকার পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কাজ করার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন। এরই মধ্যে তিনি সরকারি উচ্চ ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা ও ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন।
এনায়েত করিম চৌধুরী ১৯৮৮ সালে আমেরিকা যান এবং ২০০৪ সালে সেই দেশের পাসপোর্ট পান।
গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে আসেন। সাত দিনের মাথায় শনিবার সকালে মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।